রাবার চাষের উন্নয়নে কাজ করতে চায় ভারত-বাংলাদেশ
বিশ্বব্যাপী চাহিদা বাড়ছে প্রাকৃতিক রাবারের। এ চাহিদার কারণে সরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও রাবার চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে।
আবহাওয়া জলবায়ু রাবার চাষের উপযোগী হওয়ায় দিন দিন বিস্তার ঘটছে তরল সাদা সোনা হিসেবে খ্যাত পণ্যটির। তবে উন্নত জাতের গাছ না হওয়ায় উপযুক্ত আবহাওয়াতেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত রাবার।
এমন পরিস্থিতিতে রাবারের উন্নত জাত সৃজনে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ভারত থেকে উন্নত জাতের ক্লোনিং রাবারের জাত আনতে আগ্রহী সরকার।
এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের আমন্ত্রণে দেশে রাবার চাষের প্রক্রিয়া, প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের প্রতিনিধি দল।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ভারতের রাবার বোর্ডের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফআইডিসি) অধীন ফটিকছড়ির দাঁতমারা রাবার বাগান, নার্সারী ও রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা পরিদর্শন করেন।
এ সময় প্রতিনিধি দলের প্রধান ও ভারতীয় রাবার বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ভাসান তাগেসান বলেন, বাংলাদেশের রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে এসেছি। দুই দেশের আবহাওয়াগত মিল থাকলেও রাবার চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পার্থক্য রয়েছে। ফলে রাবারের মানের তারতম্য হচ্ছে। উন্নতজাতের গাছের চাষ হলে রাবার উৎপাদন বাড়বে এবং তা ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে বিশ্ববাজারে রপ্তানি করা যাবে।
বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সরওয়ার জাহান বলেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল আমাদের রাবার বাগান পরিদর্শন করেছেন। আমাদের দেশে রাবার গাছের যেজাত আছে তা থেকে যে কষ পাওয়া যায় তা খুবই কম। তাই আমরা চেষ্টা করছি ভারত থেকে রাবারের উন্নত ক্লোনিং জাত আমদানি করতে। তাদের জাতটি আমার যদি ক্লোনিং এর মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারি তাহলে দেশের রাবারের উৎপাদন বাড়ানো যাবে।
তিনি বলেন, আমরা যে গাছগুলো থেকে রাবার সংগ্রহ করছি তা প্রায় ৪০-৫০ বছর আগে বিদেশ থেকে আনা জাত। যা থেকে ২০০-৩০০ গ্রাম রাবারের কষ পাওয়া যায়। কিন্তু উন্নতমানের গাছ লাগালে এর উৎপাদন কয়েকগুন বাড়বে।
এ সময় বাংলাদেশ রাবার বোর্ড, বিএফআইডিসি এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।