চট্টগ্রামপার্বত্য চট্টগ্রাম

লামায় পরকীয়া প্রেমিক নিয়ে স্বামীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

প্রেমিকের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরকীয়ায় আসক্ত গৃহবধূ নুর বানু। তাদের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান স্বামী সুজন। তাকে সরাতে রাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে প্রেমিক হানিফের সহযোগিতায় পা বেধেঁ মুখে কম্বল ও গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় সুজনকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুজনেই। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) পুলিশের পৃথক অভিযানে স্ত্রী নুর বানু ও তার পরকীয়া প্রেমিক হানিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত মো. সুজন হোসেন লামা পৌরসভা নয়াপাড়া গ্রামের চুকু মিয়ার ছেলে। আর অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিক হানিফ নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের দক্ষিণ সালামী পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ।

জানা গেছে, গত ২১ জুলাই নিখোঁজ হন সুজন মিয়া । এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করার ২দিন পর ২৩ জুলাই সকালে লামা সদর ইউপির মেরাখোলা এলাকায় মাতামুহুরি নদীতে সুজনের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানায়, নুর বানু ও হানিফ দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়া প্রেমে আশক্ত। গত ২১ জুলাই রাতে সুজনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে প্রেমিক হানিফের সহযোগিতায় গামছা দিয়ে পা বেঁধে মুখে কম্বল ও গলায় গামছা প্যাঁচিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে মাতামুহুরি নদীতে ফেলে দেয়।

নিহতের ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ১২ বছর আগে সুজনের সাথে নুর বানুর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। নিখোঁজের পর থানায় জিডি করি। মরদেহ উদ্ধারের পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করি। এর এক সপ্তাহ পর রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। পরকীয়া প্রেমে বলি হয় আমার ভাই। ঘটনার সাথে জড়িত তার স্ত্রী ও প্রেমিক হানিফকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।’

লামা থানার ওসি মো. শামীম শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সুজনের মরদেহ উদ্ধারের পর মরদেহ মর্গে প্রেরণ করি। মরদেহের গলায় গামছা প্যাঁছানো ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মামলার পর পুলিশ স্ত্রীকে আটকের পর পরকীয়া প্রেমিক হানিফকেও গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উভয়ে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আজ শুক্রবার দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *