শত শত রোহিঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে প্রতিদিন
সীমান্ত অতিক্রম করে প্রতিদিনই বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে শত শত রোহিঙ্গা। গত দুই সপ্তাহে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে কমপক্ষে আট হাজার রোহিঙ্গা। নাফ নদী ও সাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে।
গতকাল সোমবার ভোরে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন পুরাতন পল্লান পাড়ায় দুটি মাইক্রোবাসে করে ১৫ জন নারী-পুরুষ ও শিশু গাড়ি থেকে তড়িঘড়ি করে নেমে বেলাল মসজিদের দিকে চলে যেতে দেখা যায়। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, রাখাইনের মংডু টাউনশিপের বিপরীতে (পশ্চিমে) চার কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদী পেরোলেই বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলা। রাতের অন্ধকারে মংডু টাউনশিপের সুদাপাড়া, ফয়েজীপাড়া, সিকদারপাড়া ও নুরুল্লাপাড়া গ্রাম থেকে রোহিঙ্গারা নৌকা নিয়ে নাফ নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে।
বেশিরভাগ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকছে জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনতলী, বরইতলী, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, শাহপরীরদ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ, আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী, তুলাতলী, সাবরাং বাহারছড়া, মুন্ডার ডেইল, রাজারছড়া, বাহারছড়া সীমান্তের নাফ নদী ও সাগর উপক‚ল দিয়ে থেমে থেমে মাছ ধরার বোটযোগে রোহিঙ্গা ও মাদক ঢুকছে। উপক‚লের জেলেরা মাছ আহরণের নামে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দু’দেশের জলসীমার মধ্যে হাতবদল করে রোহিঙ্গাদের সাথে মাদকের বড় বড় চালান ঢুকতে সহায়তা করছে। স্থানীয় দালালদের নিয়ন্ত্রণে এসব অপকর্ম বেপরোয়াভাবে চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নাফ নদীর তীরে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা টেকনাফ পৌরশহরে বিভিন্ন ভাড়া বাসা ও সাবেক রোহিঙ্গাদের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। দালালদের মাধ্যমে আসা রোহিঙ্গাদের তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। গভীর রাত হলেই দালালদের মোটরসাইকেলে আনাগোনা দেখা যায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা আমি শুনেছি। অনুপ্রবেশের সময় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নাফ নদী থেকে পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।