শাহ আমানত বিমানবন্দর এখন থেকে ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে
স্বাভাবিকভাবে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম সচল থাকে সকাল সাতটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা বিমান বন্দরের কার্যক্রম চালু থাকলেও বাকি আট ঘণ্টা বন্ধ থাকায় মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকাসহ অন্যান্য রুটের যাত্রীদের নিত্যদিন পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। তবে সুখবর হচ্ছে- চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কার্যক্রম দিনরাত ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সচল রাখার কথা জানিয়েছেন বিমানবন্দরের পরিচালক।
এদিকে, বিমানবন্দরের কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট, বিমানবন্দরের পরিধি, কার্গো সুবিধা বাড়ানোসহ একটি মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে সার্ভের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এছাড়াও বিমানবন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।
জানা যায়, ২০০০ সালে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রূপ পেয়েছিল চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর। যা সকাল সাতটা থেকে কার্যক্রম শুরুর পর রাত ১১টায় বন্ধ হয়ে যেত। বাকি আট ঘণ্টা কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর পরদিন নির্ধারিত সময়ে তথা সকাল ৭টায় পুনরায় কার্যক্রম শুরু হতো।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, ‘প্রায় একমাস ধরেই ২৪ ঘণ্টা বিমানবন্দরের কার্যক্রম সচল রয়েছে। মূলত ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালু রাখলে নতুন কোন ফ্লাইট আসে কিনা এবং কুয়াশার কারণে যে ফ্লাইটগুলো ঢাকায় নামতে পারছে না, তা যেন চট্টগ্রামে অবতরণ করতে পারে, সে জন্যই এখন কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। পরীক্ষামূলকও বলা যাবে। কেননা যদি নতুন কোন ফ্লাইট আসে কিংবা ভালো কোন রেজাল্ট পাওয়া যায়, তখন পুরোপুরিই ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালু রাখা হবে।’
বিমান সংশ্লিষ্টরা বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ- আমেরিকাগামী কানেক্টিং ফ্লাইটগুলো সকালেই ছাড়ে। আবার এসব ফ্লাইটের চট্টগ্রামের ট্রানজিট যাত্রীরা মধ্যরাতের পরিবর্তে সকালেই বিমানের টিকিট করতে বাধ্য হন। এতে করে চট্টগ্রামের যাত্রীদের মধ্যপ্রাচ্যের বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। তবে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালু করা গেলে বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাত্রীদের সুবিধাও বাড়বে।
চট্টগ্রাম এভিয়েশন ক্লাবের সভাপতি মো. আসিফ চৌধুরী বলেন, রাতে বিমানবন্দর পরিচালনা হলে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকাগামী ফ্লাইটগুলোতে সহজে সংযোগ করা যায়। এতে যাত্রী পরিবহনও বাড়বে। যাত্রীরা যেসব উপকৃত হবেন পাশাপাশি সেই সুবিধা বিমানবন্দরও পাবে।