শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করতে দেশব্যাপী সফর করবেন আন্দোলনকারী নেতারা
দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করতে আগামী শুক্রবার থেকে বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা শহরে সফর করবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ের আন্দোলনকারীদের সংগঠিত করা হবে। আমরা সমম্বয়করা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে সারা দেশে সফর করব। সফরের সময় আমরা মানুষের কথা শোনার চেষ্টা করব। আমরা মধ্যস্থতাকারী হব। জনগণের কথা শুনব এবং তা সমাজে ছড়িয়ে দেব। আশা করি, সমাজের মানুষ তা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
আবু বাকের বলেন, দেশব্যাপী একটি চক্র চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট, দখলদারি করছে। আন্দোলনকারীরা একতাবদ্ধ হয়ে এসবের বিরুদ্ধে কাজ করবে। এছাড়া দুর্নীতি ও বিপ্লব রক্ষার জন্য তারা কাজ করবে। আমরা তাদের কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করব। তারা এর বাইরে কাজ করবে না।
তিনি বলেন, আমরা শুরুতে অল্প কিছু কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলাম। জেলাভিত্তিক আমাদের কোনো কমিটি নেই। আমরা দেখছি সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে অনেকেই অপকর্ম করছে। আমরা এর সাথে জড়িত নই।
সফরের পর কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করা হবে কি না জানতে চাইলে আরেক সমম্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আপনারা বরং এই প্রশ্ন সাধারণ মানুষকে করুন। তারা (আমাদের কাছ থেকে) নতুন কোনো রাজনৈতিক দল চায় কি না। জনগণ নির্ধারণ করবে তারা দ্বিদলীয় রাজনীতি থেকে বের হতে চায় কি না। আমরা কেবল তাদের ভাষাকে বাস্তবে রূপান্তরের কাজ করি।
গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী শহীদী মার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচিটি বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হবে। রাজু ভাস্কর্য থেক থেকে নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, ধানমন্ডি, সংসদ ভবন, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমম্বয়ক সারজিস আলম, লুতফর রহমান, তরিকুল ইসলাম, হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ।