শেষ কর্মদিবসে বুয়েট উপাচার্য অবরুদ্ধ, ৫ ঘণ্টা পর মিলল মুক্তি
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারকে অবরুদ্ধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় মুক্ত হয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৪ জুন) বিকেল ৪টার দিকে বুয়েটের পদোন্নয়ন সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১৫ বাতিল করে জারিকৃত এক অফিস আদেশকে কেন্দ্র করে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে রাত সাড়ে ৮টার তাকে অবমুক্ত করা হয়।
এর আগে, রোববার (২৩ জুন) বুয়েট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১৫ বাতিল করে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।
তাতে বলা হয়, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৪০তম সভায় ২৭ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখের পর নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রাপ্যতার জন্য বিবেচিত হবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দীর্ঘ ৬ মাস আগে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত উপাচার্যের শেষ কর্মদিবসে জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে ২০১৫ সালে পদোন্নয়ন সংক্রান্ত নীতিমালা বহাল রাখার দাবি জানান।
দীর্ঘ অবস্থান কর্মসূচির পর রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০ জনের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। সেখানে প্রতিনিধি দলকে নীতিমালা-২০১৫ বহাল রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়েই স্থান ত্যাগ করেন উপাচার্য ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার।
এদিকে বৈঠক শেষে স্থগিতাদেশ বাতিলের পক্ষে সিন্ডিকেটে সুপারিশ করবেন বলে আশ্বাস দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. ফোরকান উদ্দিন। তবে এই আশ্বাসকে ভুয়া বলে উড়িয়ে দিয়েছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।