চট্টগ্রাম

‘সনাতন সম্প্রদায়ের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক পরিচয় প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি’

অন্যান্য রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি ছেড়ে হিন্দুদের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক পরিচয় প্রতিষ্ঠার আওয়াজ উঠেছে। সোমবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা মোড়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চাভুক্ত সংগঠনের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে এ আওয়াজ তুলেন চট্টগ্রাম পুন্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।

তিনি বলেন, ‘‘ব্রিটিশ ভারতের পরে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়েছে। এখন ছাত্র যুব জনতা ‘নতুন বাংলাদেশ ২০২৪’ নির্মাণ করেছে। তবে কোনো স্বাধীনতা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষা দিতে পারেনি। কোনো স্বাধীনতা আমাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।’’

নোবেলজয়ী ড. ইউনূস চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা সারাবিশ্বে রয়েছে উল্লেখ করে অধ্যক্ষ শ্রীপাদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘তাঁর শাসনামলে যদি সনাতনীদের ন্যায় প্রতিষ্ঠিত না হয়; তাহলে বাংলাদেশের সকল স্বাধীনতা লজ্জায় পরিণত হবে। উগ্রবাদী রাজনৈতিক কেন্দ্রস্থলে পরিণত হবে এই দেশ। ফলশ্রতিতে কোনো রাজনৈতিক দলের অবস্থান সহজতর হবে না।’

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নগর সভাপতি আশিষ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘৫ তারিখের পর থেকে এই চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে সনাতনী সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন চলছে। আমরা চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানাবো, অচিরে আপনি আইনগত ব্যবস্থা নিন। আমাদের ওপর বার বার যেসব নির্যাতন হচ্ছে এসব বন্ধ করতে হবে।’

যে আন্দোলনের কারণে আজকে নতুন বাংলাদেশ সেই বিপ্লবে সনাতন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েও ছিল মন্তব্য করে বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার প্রাক্কাল থেকে বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন নতুন কোন ঘটনা নয়। আমরা প্রতিবার দেখি সরকার পরিবর্তন হলেই আমাদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। তাই আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য আমরা এই দেশের নাগরিক। আমরা এই দেশে বাঁচতে চাই। সমান অধিকার নিয়ে ভালোভাবে বাঁচতে চাই।’

এদিকে, কোটা আন্দোলন, সরকারের পতনের দাবিতে এক দফা সফল আন্দোলনের পর আবার শনিবার উত্তাল হয় চট্টগ্রাম। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা এবং মন্দিরে হামলা ও আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠে। এরই প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে চেরাগি পাহাড় মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *