দেশজুড়ে

সিলিন্ডার বিস্ফোরণ নয়, ইচ্ছাকৃতভাবে গ্যাস ছাড়ায় ভাসানচরে আগুন

নোয়াখালীর ভাসানচরে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটেনি, নতুন সিলিন্ডার পেতে পুরাতন সিলিন্ডারের গ্যাস বাতাসে ছাড়ায় ঘটেছে অগ্নিকাণ্ড। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচ রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে আরও চার রোহিঙ্গা।

শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম। তিনি বলেন, ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। সিলিন্ডারের গ্যাস ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেওয়ায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের মাঝে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণের তারিখ ছিল। এর আগের দিন সকাল সোয়া ৮টার দিকে ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের সফি আলম (২৪) নতুন সিলিন্ডার নিতে তার ব্যবহৃত সিলিন্ডারের তলানিতে থেকে যাওয়া গ্যাস ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেন। এ সময় পাশের কক্ষের আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী আমিনা খাতুন এবং অপর কক্ষে আব্দুল হাকিমের মেয়ে শমসিদা গ্যাসের চুলায় আগুন দিলে সফি আলমের ছেড়ে দেওয়া গ্যাস বাতাসে মিশে তাদের ৩, ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর কক্ষসহ বারান্দায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই কক্ষগুলোয় তখন গ্যাসের চুলায় রান্না চলছিল। এতে মুহূর্তের মধ্যে পাঁচটি কক্ষে ও সামনের বারান্দায় আগুন ধরে যায়। আর তখন ৫ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হন।

ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয়ে পাঁচ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ নূর বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। মামলায় সফি আলমকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। কিন্তু তিনি নিজেই অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় তাকে আপাতত গ্রেপ্তার না করে পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডে তার দুই শিশুসন্তানও মারা গেছে। তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভাসানচর হাসপাতালে এনে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *