‘সীমান্তে রক্ত ঝরে, এই রাষ্ট্র কি করে?’
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক স্বর্ণা দাস ও শ্রী জয়ন্ত হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন থেকে তারা সীমান্তে ন্যাকারজনক হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানান।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘সীমান্তে রক্ত ঝরে, এই রাষ্ট্র কি করে?’ ফেলানী, জয়ন্ত, স্বর্ণা দাস, সীমান্তে আর কত লাশ ? ইত্যাদি স্লোগান সংযুক্ত ব্যানার হাতে দেখা যায়।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সীমান্তে অসংখ্য সাধারণ মানুষ ও বিজিবির সদস্যরা নিহত হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনে সংঘঠিত এইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা পাইনি। অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই হত্যাকাণ্ড বন্ধে কী ভাবছে তা আমরা জানতে চাই। এতোদিন যাবৎ যে অসম পানিবণ্টন চুক্তি হয়েছে, তার কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যখন আমাদের পানির দরকার তখন তারা আমাদের পানি দেয় না। যখন পানির দরকার নেই তখনই পানি দিয়ে আমাদের বানের জলে ভাসিয়ে দেয়। আবার আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ দেওয়ায় মরতে বসেছে বাংলাদেশের অনেক নদী। ভারতীয় আগ্রাসন নীতি আমাদের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়েছে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়ে তারা নিজেদের দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। নানাভাবে তারা এদেশের বাজারকে ব্যবহার করে জনগণের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। তাই আমাদের মাথায় রাখতে হবে, তাদেরকে এই ধরনের অপপ্রচারের সুযোগ দেওয়া যাবে না। ফেলানী থেকে শুরু করে স্বর্ণা, জয়ন্ত সকলের হত্যার বিচার চাই ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেও নেওয়ার দাবি জানাই।