৬০ ভাগ কিডনি রোগ প্রতিরোধ সম্ভব
নিয়ন্ত্রিত ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন দেশের বিশেষজ্ঞ কিডনি চিকিৎসকরা।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কিডনি ‘এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)’ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে চিকিৎসকরা এ তথ্য জানান।
বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়- ‘সবার জন কিডনি স্বাস্থ্য- কিডনি চিকিৎসায় সমঅধিকার অর্জনে করণীয়।’ বৈঠকে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান এবং আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ।
মূলপ্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ বলেন, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর হার শতকরা ১৬ থেকে ১৮ ভাগ। কিডনি রোগের শেষ ধাপ হলো কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া। একবার কিডনি বিকল হয়ে গেলে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় কিডনি ডায়ালাইসিস। কিন্তু এই চিকিৎসা এতোটাই ব্যয়বহুল যে, শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ তা বহন করতে পারে না। তারা বিনা চিকিৎসায় কিংবা স্বল্প চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি বলেন, কিডনি রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা। কিডনি রোগের ব্যাপকতা, ভয়াবহতা, পরিণতি ও কারণ সম্পর্কে সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।