আন্তর্জাতিক

গাজা সীমান্ত পরিদর্শনের পর যা বললেন জাতিসংঘ প্রধান

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার দোরগোড়ায় পরিদর্শনে গিয়ে বলেছেন, বিশ্ব যথেষ্ট ভয়াবহতা দেখেছে এবং আরো সাহায্যের অনুমতি দিতে যুদ্ধবিরতির আবেদন করছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) গুতেরেস রাফাহর মিসরীয় পাড়ের ক্রসিংয়ে বক্তৃতা দেন, যেখানে গাজার জনসংখ্যা অধিকাংশ আশ্রয় চেয়েছে। কিন্তু গুতেরেস ও অন্যান্য বিশ্বনেতাদের ভয় সত্ত্বেও হামাসের যোদ্ধাদের নির্মূলে স্থল সেনা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল।

জাতিসংঘের প্রধান এদিন বলেছেন, ‘গাজার ফিলিস্তিনিরা একটি বিরতিহীন দুঃস্বপ্নের মধ্যে আটকে আছে।

আমি বিশ্বের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠের কণ্ঠস্বর বহন করি, যারা যথেষ্ট দেখেছেন।’

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রায় ছয় মাস যুদ্ধের পর রাফাহতে অভিযান ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের কারণ ও গাজায় মানবিক সংকটকে আরো খারাপ করবে—এমন সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি হামলার দিকে এগিয়ে যাবেন। একই সঙ্গে তার সরকার বোমাবর্ষণ ও স্থল আক্রমণ বন্ধের জন্য ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে রয়েছে। হামাসশাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কমপক্ষে ৩২ হাজার ১৪২ জন নিহত হয়েছে।

৭ অক্টোবরে হামাসের যোদ্ধারা গাজা থেকে ইসরায়েলে একটি নজিরবিহীন হামলা চালালে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলি সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ১৬০ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। হামলার পর ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দেয়। গোষ্ঠীটি প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে।

ইসরায়েলের ধারণা, জিম্মিদের মধ্যে প্রায় ১৩০ জন গাজায় রয়ে গেছে, যার মধ্যে ৩৩ জনকে মৃত বলে ধরে নেয়া হয়েছে।

গাজার ভূখণ্ডের বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং সোমবার বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলেছে, গাজাবাসীরা এরইমধ্যে ‘অনাহারে মরছে’। জরুরি হস্তক্ষেপ ছাড়া উত্তর গাজায় মে মাস নাগাদ দুর্ভিক্ষ অনুভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যে সাহায্যের অনুমতি দিচ্ছে তা এখনো যথেষ্ট নয়।’

যুদ্ধের আগে অন্তত ৫০০ ট্রাকের তুলনায় বর্তমানে গড়ে ১৫০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *