চট্টগ্রামের উন্নয়নে এক্স মেয়র ফোরাম গঠনে তাগাদা নওফেলের
চট্টগ্রাম: ‘গণমুখী রাজনীতিবিদদেরই সংসদে যাওয়া উচিত । যাদের দুয়ারে গরিবের ঠাঁই নেই, তাদের বর্জন করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের ঠেকানোর এখন পবিত্র সময়। সরকারের উদ্যোগের সর্বোচ্চ সুফল নিশ্চিতে দায়িত্বশীল গণপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা দরকার। চট্টগ্রামের উন্নয়নে সমন্বয় নিশ্চিত করতেই হবে। এমন সব নাগরিক প্রস্তাবনা উঠে এসেছে চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মারক আলোচনা থেকে। এতে চট্টগ্রামের বর্তমান-প্রাক্তন পাঁচ মেয়রই স্মরণ করলেন চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীকে।
পেশাজীবী ও সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় চট্টলবীরের সন্তান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়ন সমন্বয়ে পরামর্শকের ভূমিকা রাখতে এক্স মেয়র ফোরাম এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পূর্বসূরীদের পরামর্শ নিলে কেউ ছোট হয় না । তাতে কাজের সক্ষমতা বাড়ে এবং সাফল্য আসে। হীনমন্যতায় না ভুগে সবার সাথে সংযোগ স্থাপন করে কাজ চালিয়ে যাওয়াই গণমুখী রাজনীতিবিদের চরিত্র। ‘
চট্টগ্রাম-৯ আসনের নৌকার এই প্রার্থী মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কাজ ত্বরান্নিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে আগামী নির্বাচনে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান ।
চট্টলবীর স্মরণে চট্টগ্রাম সিটির বর্তমান ও প্রাক্তন পাঁচ মেয়র এক মঞ্চে বসানোর উদ্যোগে আগ্রহের কমতি ছিল না এই স্মারক আলোচনা আয়োজনে। সাংগঠনিক ও পারিবারিক ব্যস্ততায় কেউ কেউ উপস্থিত হতে না পারলেও এতে প্রথমেই ছুটে এলেন চট্টগ্রামের প্রথম মেয়র ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। নির্বাচনী প্রচারণা ও রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও সদ্য সাবেক মেয়র, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন আয়োজনের সাথে যুক্ত হয়ে চট্টলবীরের রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাঁর গণমুখী আদর্শ থেকে নতুন রাজনৈতিক কর্মীদের শিক্ষা গ্রহণের অনুরোধ জানান। একই সাথে অনলাইনে আয়োজনের সাথে একাত্মতা জানিয়ে সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও এম মনজুর আলম প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্মৃতিচারণ করেন। পাশাপাশি রাজনীতিকে গণমুখী করতে সহমর্মিতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে রিয়াজ হায়দার চৌধুরী পেশাজীবীদের আন্দোলন, শ্রমিক শ্রেণির সংগ্রাম, ৯১ এর ঘূর্ণিঝড় ও বন্দরটিলা হত্যাযজ্ঞ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, গণজাগরণ সহ নানা সংগ্রামে চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে আনেন। প্রতিবছর মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মারক বক্তৃতার উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।