ফটিকছড়িতে চোরে নিয়ে গেল আবুদের শেষ সম্বল
ফটিকছড়িতে আবারও গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গরু লালন-পালন করে পরিবারের ভরণপোষণ করা আবুদকে নিঃস্ব করে দিয়েছে চোরেরা। গরু চোরের কবলে পড়ে আবুদ এবং তার পরিবার জীবিকার শেষ সম্বলটুকু হারিয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩-৪টার মধ্যে লেলাং ইউনিয়ন রায়পুর গ্রামে এ গরু চুরির ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভুক্তভোগী আবুদ লেলাং ইউনিয়ন রায়পুর গ্রামের মোজাফফর বাড়ীর বাসিন্দা। পরিবারে তার একমাত্র পুত্র ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস। তিনি নিজেও অসুস্থ এবং তার স্ত্রীও নানারোগে আক্রান্ত। সারাদিন কৃষি কাজ ও গরু লালন পালন করে পরিবারের খরচ যোগাতো। কিন্তু গরু চুরির কবলে পড়ে আবুদ একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেল।
জানা যায়, ভুক্তভোগী আবুদ প্রতিদিনের মতো তার গরুগুলো গোয়ালঘরে বেঁধে রাতে ঘুমাতে যায়। গভীর রাতে উঠে দেখভাল করে। গতকালও তাই করেছে। কিন্তু এরপর সুযোগ বুঝে চোরেরা বড় সাইজের ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। বাজারমূল্য হিসেবে ৩টি গরুর মূল্যা আনুমানিক প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা।
তাছাড়া জীবন নির্বাহের একমাত্র এসব সম্বল হারানোর তীব্র কষ্টে জর্জরিত ভুক্তভোগী আবুদ বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও পরিবারের ভরণপোষণের মতো দায়িত্ব করতে পশু লালন পালন করেছি৷ গাধার খাটুনি খেটে এবং ধারদেনা করে এসব চুরি হয়ে যাওয়া গরুগুলো মোটাতাজা করে বিক্রির উপযোগী করে তুলেছি। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। শেষ সম্বলগুলো হারিয়ে আমি একেবারে পথের পথিক হয়ে গেলাম। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব চুরির ঘটনা বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান আবুদ।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল হুদা বলেন- আপনার মাধ্যমে আমরা খবর পেয়েছি, তারা কেউ এ বিষয়ে এখনো আমাদের জানায়নি। তবে আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।