চট্টগ্রামের বইমেলায় ভিড় বাড়ছে
চট্টগ্রাম: সকাল সাড়ে দশটা। অক্ষরবৃত্তের স্টলে ‘আগন্তুক’ বইয়ের ক্রেতাদের অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন কাজী শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘আগন্তুক’। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলায়।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সিআরবি শিরীষতলায় সরেজমিন দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১০টার পর থেকে লোকসমাগম বাড়তে থাকে বইমেলায়। শিশুতোষ বই, উপন্যাস আর চিরায়ত বই বিক্রি হচ্ছে বেশি।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাবেক সভানেত্রী নূর জাহান খান। বলাকার স্টলের সামনে চেয়ারে বসে পড়ছিলেন বই। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সকালে ভিড় কম হবে সেই কারণে আসা। বইমেলা আমাকে উজ্জীবিত করে। এটা প্রাণের মেলা, মানুষকে টানে। দশটা বই দেখে একটা নিচ্ছি। উপভোগ করছি। আগে বইমেলার পরিসর ছোট ছিল, কিন্তু প্রাণ ছিল। শিশুরা মেলায় আসে। তারা বইমুখী হবে। সিনিয়র সিটিজেনরা চিন্তিত কারণ শিশু-কিশোররা মোবাইল, কার্টুন, গেমে আসক্ত হচ্ছে।
বইমেলা মঞ্চের সামনে সকালে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা রংতুলি আর রঙিন পেনসিলে শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন বিষয় ফুটিয়ে তোলে ছোট্ট ক্যানভাসে।
চসিকের আয়োজনে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতায় এ বইমেলা হচ্ছে।
৪৩ হাজার বর্গফুটে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৯২টি প্রকাশনা সংস্থার ১৫৫টি স্টল। এর মধ্যে ডাবল স্টল ৭৮টি, সিঙ্গেল ৭৭টি। এবারের বইমেলার বাজেট ৫০ লাখ টাকা। এবারও জাতীয় জীবনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য একুশে সম্মাননা স্মারক পদক ও সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হবে।