চট্টগ্রামে সাজানো নাটকে দিনদুপুরে ১০ লাখ টাকা লুট
চট্টগ্রামে মারামারির নাটক সাজিয়ে চলে ডাকাতি। এভাবেই নগরের জুবিলী রোড থেকে ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ওই ডাকাতচক্র। এ ডাকাতির নেপথ্যে রয়েছে ২৬ বছরের যুবক মিরাজ আহমেদ। মিরাজের সাজানো স্ক্রিপ্টেই দিনদুপুরে হয় ডাকাতি! অবশেষে ধরা পড়েছে ডাকাতচক্রের সেই মূলহোতা মিরাজ। নগরের কোতোয়ালী থানার ব্রিজঘাট বিআইডব্লিউটিএ অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার মিরাজ আহমেদ নগরের কোতোয়ালী থানার ১৩ নং জুবিলী রোড কলিম উল্লাহ মাস্টার স্কুলের পাশের বাড়ির কামাল আহমেদ প্রকাশ ডাইল কামালের ছেলে। তিনি নগরের হালিশহর থানার নয়াবাজার বিশ্বরোড তাসপিয়া ক্লাবের সামনে দোলা সাহেবের বিল্ডিংয়ের পঞ্চম তলায় থাকেন।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম ওবায়েদুল হক বলেন, চলতি বছরের ৯ জুলাই বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালী থানার জুবিলী রোডের রয়েল টাওয়ারের সামনের রাস্তায় মারামারির নাটক সাজিয়ে ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা ডাকাতি করে একটি চক্র। এসময় নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ আভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধারও করা হয়। এরমধ্যে ৫ জন ডাকাতির ঘটনার সত্যতা আদালতে স্বীকার করেন। তবে ডাকাতির মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত চলাকালীন উঠে আসে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী মিরাজ আহমেদের নাম। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আজ মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে নগরের ডবলমুরিং থানায় খুনের মামলাসহ সিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, সংঘবদ্ধ ওই ডাকাতচক্র বড় বড় ব্যবসায়ীদেরকে টার্গেট করে। এরপর ব্যবসায়ীর ব্যাংকিং লেনদেনের খোঁজখবর নিতে থাকেন। ব্যবসায়ীদের টাকা কে কখন কোন ব্যাংকে জমা দিতে যায়, কে উত্তোলন করতে যায় টার্গেট করে তাদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখে। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাওয়া বা উত্তোলন করা ব্যক্তিকে টার্গেট করেই ফাঁদ পাতা হয়। আগে থেকে ওঁৎ পেতে রাখা স্থানে পৌঁছামাত্রই মারামারির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যাতে কোনো পথচারী বাঁচানোর চেষ্টা না করে। মারামারির একপর্যায়ে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় চক্রটি।