চট্টগ্রাম

সুজন নাকি ইউনুছ; কে আসছেন সিডিএ চেয়ারম্যানের আসনে?

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ এপ্রিল। এতোদিন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল সংস্থাটির পরবর্তী চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। এ নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সুজনকে অভিনন্দন জানাতে দেখা গেছে। গত কয়েকদিনের সেই আলোচনা যেন উবে গেল। হাওয়ায় মিলিয়ে গেল সেই গুঞ্জন।

শেষ মুহূর্তের আলোচনায় এলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না এলে ইউনুছই বসছেন সিডিএ চেয়ারম্যানের চেয়ারে। গতকাল বুধবার সিডিএ সংশ্লিষ্ট একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা যায়, খোরশেদ আলম সুজনকে ‘ঠেকাতে’ একটি বলয় ‘নির্ঝঞ্ঝাট’ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছকে সামনে এনেছেন। তাঁকে সিডিএ’র চেয়ারে বসাতে চলছে জোর তৎপরতা। যদিও খোরশেদ আলম সুজন ছাড়া সিডিএতে যাওয়ার ‘দৌঁড়ে’ ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিডিএর সাবেক বোর্ড সদস্য মফিজুর রহমান এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও সিডিএর সাবেক বোর্ড সদস্য ইউনুছ গণি চৌধুরী।

নিয়োগ প্রসঙ্গে কথা বলতে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছের মোবাইল ফোনে বুধবার সন্ধ্যায় একাধিকবার কল করা হয়। প্রতিবারই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছই পরবর্তী সিডিএ চেয়ারম্যান হচ্ছেন জানিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সিডিএ চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেতে কোনো তদবির করিনি কখনো। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আমাকে দলের যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা আমার জন্য অনেক বড় পাওনা। তিনি যখন যে দায়িত্ব দেবেন, তাতেই আমি সন্তুষ্ট।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মধ্যকার সম্পর্কের ‘বৈরিতা’ এবার কাটবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা মফিজ বলেন, মেয়র সাহেবের সাথে মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ সাহেবের ভালো সম্পর্ক। আশা করি দুই সংস্থাই যেহেতু স্বায়ত্তশাসিত সেহেতু তারা তাদের বিধি অনুযায়ী কাজ করবে। আগের চেয়ারম্যানের সাথেও মেয়র সাহেবের ভালো সম্পর্ক ছিল।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, খোরশেদ আলম সুজনকে ঠেকাতে মরিয়া একটি বলয়। ওই বলয়ের কেউ চান না সুজন সিডিএর চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসুক! যার কারণে তাঁর চেয়েও হাইপ্রোফাইল হিসেবে আনা হয়েছে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছকে। রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্ঝঞ্ঝাট নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি।

সিডিএর নয়া চেয়ারম্যান সুজন, সত্যি নাকি গুঞ্জন। জানা গেছে, ছাত্রলীগের স্কুল সভাপতি থেকে নগর সভাপতি পর্যন্ত হয়েছেন মোহাম্মদ ইউনুছ। এ বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৬৮ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল ছাত্রলীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা সর্বদলীয় মাধ্যমিক স্কুল ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২-৭৩ সালে চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *