লাইফস্টাইল

গরমের আরাম ফ্যানযুক্ত জ্যাকেট

জাপানে গ্রীষ্মের অসহনীয় গরম ও বাড়তে থাকা তাপমাত্রায় শীতল ও নিরাপদ থাকতে তৈরি করা হয়েছে বৈদ্যুতিক পাখা বিশিষ্ট একটি জ্যাকেট। ‘দ্য ডি রিগুর’ -নামের জ্যাকেটটি এবারের গ্রীষ্মে বেশ সাড়া ফেলেছে দেশটিতে। বর্তমানে অনেকেই এই জ্যাকেটের দিকে ঝুঁকছেন।

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। রেকর্ড তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত মানুষের জীবন। অনেক দেশে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। বাড়তে থাকা এই তাপমাত্রায় শীতল ও নিরাপদ থাকতে এক ধরনের জ্যাকেটের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। জাপানে এই অসহনীয় গরমে সাড়া ফেলেছে এটি।

‘দ্য ডি রিগুর’ -নামের জ্যাকেটতে চারপাশে বাতাস প্রবাহিত করে ভেতরে থাকা পাখা। মৃদু বাতাসের সঙ্গে এটি ব্যবহারকারীকে স্বস্তি দেয়। এর মাধ্যমে যেমন তাপমাত্রা কমে, তেমনি আদ্রতাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

প্রকৌশলী হিরোশি ইশিগায়া এই জ্যাকেটের উদ্ভাবক। সনি থেকে অবসরের পর ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভ্রমণের সময় তার মধ্যে এ ধরনের উদ্ভাবনের বিষয়টি মাথায় আসে।

প্রথম দিকে, গ্রীষ্মের গরমের মধ্যে জ্যাকেট পরার বিরোধিতা করেছিলেন অনেকেই। এর সঙ্গে জ্যাকেটের মডেলেও কিছু ত্রুটি ছিলো। তবে ২০০৯ সালের দিকে এই জ্যাকেট জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই জ্যাকেট প্রস্তুতে জোর দেয়।

২০১৫ সালে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মাকিতা ফ্যান জ্যাকেট প্রস্তুত করে। তারা বুঝতে পারে এই পণ্যের চাহিদা তৈরি হতে পারে।

মাকিতার সহকারী ব্যবস্থাপক ডাইসুকে সেকি বলেন, আমরা আলাদাভাবে কোনো পণ্যের বিক্রির তথ্য প্রকাশ করি না। তবে গত কয়েক বছরে তাপমাত্রা বাড়ার চাহিদা বেড়েছে। চাহিদার কারণে বর্তমানে বাজারে পর্যাপ্ত ফ্যান জ্যাকেটের সরবরাহ রয়েছে। যা শীর্ষ ১০০ পণ্যের তালিকার মধ্যে রয়েছে।

জাপানে ফ্যান জ্যাকেটের মতো আরও বেশ কয়েকটি উদ্ভাবন এসেছে। যা বাজারে জনপ্রিয়ও হয়ে উঠছে। বাজারে ফ্যান জ্যাকেটের বেশ কিছু মডেল রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটারির মডেলটি টানা ৬০ ঘণ্টা বাতাস দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *