ভোটের দামামা না বাজলেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা সক্রিয়
চট্টগ্রাম জেলার উত্তরে সব উপজেলায় ভোট ফুরিয়েছে। দক্ষিণে পটিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, বোয়ালখালী উপজেলায় ভোট শেষ হয়েছে সবেমাত্র। লোহাগাড়া, বাঁশখালী উপজেলায় ভোট ৫ জুন। বাকি থাকছে সাতকানিয়া ও কর্ণফুলী। ভোটের দামামা সাতকানিয়ায় বাজতে পারে অক্টোবরে এবং কর্ণফুলীতে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে। তবে ভোট যখনই হোক; এখন থেকেই ‘প্রস্তুত’ দুই উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, অক্টোবরে সাতকানিয়া উপজেলার বর্তমান পরিষদের মেয়াদ ফুরাবে। এরপরই নতুন করে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে আরও দেড় বছর পর কর্ণফুলী উপজেলার মেয়াদ শেষ হবে। আইন অনুযায়ী, তফসিলের পর তখনই নির্বাচন হবে।
সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের ‘চেয়ার’ ছেড়ে সংসদে বসেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব সিআইপি। তাঁর শূন্যপদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা বেগম। ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন সালাহ উদ্দিন হাছান চৌধুরী।
কর্ণফুলী উপজেলায় বর্তমান পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা. ফারহানা মমতাজ।
এদিকে, এর মধ্যেই ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দীন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য স্বাচিপ নেতা ডা. আ.ম.ম মিনহাজুর রহমান, দক্ষিণ জেলার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী রাজনৈতিক-সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভোটে নামার ‘কসরত’ করছেন।
কর্ণফুলী উপজেলাতেও একই অবস্থা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে সক্রিয় আছেন। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আপন আপন বলয়ের নেতাকে প্রার্থী করতে নানা কৌশলে কাজ করছেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম প্রামানিক সিভয়েস২৪কে বলেন, ‘সাতকানিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলার বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ না হওয়ায় তফসিলভুক্ত করা হয়নি। আইন অনুযায়ী অক্টোবর নাগাদ সাতকানিয়া এবং আরও দেড় বছর পর কর্ণফুলীর ভোটগ্রহণের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।’