চট্টগ্রাম

লালদীঘিতে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা আজ

আজ ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল চারটায় নগরের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে বসতে যাচ্ছে এই বলীখেলার ১১৫ তম আসর। এনইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে সারা দেশ থেকে আসা দেড় শতাধিক বলী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। রেজিস্ট্রেশন চলবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত।

এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়ে আছে মঞ্চ। যেখানে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই করবে চট্টগ্রামসহ টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার বলীরা । আয়োজকরা বলছে, যাচাই-বাছাই করে মূল পর্বের জন্য ৮০ জন বলীকে নির্বাচন করা হবে। সেখান থেকে চারজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। এদের মধ্যে একজনকে চ্যাম্পিয়ন, একজনকে রানার আপ এবং অপর দুজনকে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ হিসাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

এবারের জব্বারের বলীখেলায় প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রাউজনের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উদ্বোধক থাকবেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি থাকবেন এবারের বলী খেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।

বলীখেলায় পৃষ্ঠপোষক এনইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সৌজন্যে চ্যাম্পিয়ন বলীর জন্য থাকছে ট্রফিসহ নগদ ৩০ হাজার টাকা। যা এই যাবতকালে সর্বোচ্চ। রানারআপ পাবে ট্রফিসহ নগদ ২০ হাজার টাকা। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ট্রফিসহ ১০ হাজার আর চতুর্থ স্থান অর্জনকারী পাবেন ট্রফিসহ নগদ ৫ হাজার টাকার পুরস্কৃার। এছাড়াও এবারের বলী খেলা প্রথম রাউন্ডে বিজয়ীরা পাবেন ট্রফিসহ নগদ দুই হাজার টাকা।

কমিটির সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ জানান, ‘এবার ৩টার পরিবর্তে বিকাল ৪টায় খেলা শুরু করা হবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যারা দূর-দূরান্ত থেকে আসবে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বলীখেলা শেষ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেনিং কোর্স চালু করা হবে।’

এদিকে ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বার স্মৃতি বলীখেলা উপলক্ষ্যে লালদীঘি ও এর আশপাশের সড়কজুড়ে বুধবার থেকে বসেছে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। আন্দরকিল্লা থেকে কোতোয়ালী, সিনেমা প্যালেস থেকে খাতুনগঞ্জ, জেলখানার গেট হয়ে নিউমার্কেট মোড় পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকা নিয়ে চলছে এই মেলা। মেলার অস্থায়ী দোকানে মাটির তৈরি তৈজসপত্র, বাঁশ ও বেতের আসবাবপত্র, গাছের চারা, ফুলের ঝাড়ু, হাতপাখা, মুড়ি-মুড়কি, পাটি, দা, বঁটি, ছুরিসহ নানা ধরনের গৃহস্থালি ও লোকজ বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে বিক্রি শুরু করে করছেন দোকানিরা। মেলা উপলক্ষ্যে তিনদিনের জন্য লালদীঘি ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *