চট্টগ্রাম

মঙ্গলবার থেকে ট্রাফিকে থাকছেন না শিক্ষার্থীরা

আগামী মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রাম নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় থাকছেন না শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১১ আগস্ট) দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইমন। শিক্ষার্থীদের এখন ক্লাসে ফেরার সময় হয়েছে মন্তব্য করে পুলিশকে দ্রুত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইমন বলেন, ‘নগরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় এখন অন্তত ২৫টি টিম কাজ করছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী মাঠে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হয়েছে। এখন ছাত্রদের ক্লাসে ফেরার সময়। অতএব, আগামী মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীরা আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় থাকবে না। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আগের মতোই পুলিশের তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এদিকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ থেকেও তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। নগর পুলিশ বলছে, আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নামছেন পুলিশ সদস্যরা।

জানতে চাইলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ রবিবার বিকেলে সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘আমরাও খবর পেয়েছি শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা থেকে সরে আসছে। কাল-পরশু থেকে ট্রাফিক সদস্যরা মাঠে নামবেন।’

নগরের কোতোয়ালী থানা এলাকায় দায়িত্ব পালন করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইমনের দাবি, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের যারা অস্ত্রধারী ছিল, ছাত্রআন্দোলনে ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে যারা গুলি চালিয়েছে; তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। দখলমুক্ত করে পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে সব ফুটপাত।

ইমন বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে নিউমার্কেট এলাকায় হামলা চালিয়ছে। হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি ছাত্রদের কাছে আছে। এখন ওই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। মহানগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে থাকা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কোতোয়ালী থানা এলাকাসহ মহানগরীর সব ফুটপাত দখল হয়ে আছে। ফুটপাত ও সড়কে অস্থায়ী বাজার বসিয়ে দৈনিক লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এখন চাঁদাবাজদের উৎখাত করে ফুটপাত সাধারণ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এই অভিযানে প্রয়োজনে ছাত্র-জনতা প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।’

ইমন জানান, চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গঠিত কমিটিতে সমন্বয়ক করা হয় ৭৫ জনকে। তাদেরই একজন মোহাম্মদ ইমন। সমন্বয়কদের মধ্যে কাউকে প্রধান করা হয়নি, ভবিষ্যতে নেতৃত্বে জটিলতা তৈরি হতে পারে এমন আশঙ্কায়। এখন চট্টগ্রামের সমন্বয়কেরা এলাকাভিত্তিক শিক্ষার্থীদের টিম নিয়ে কাজ করছেন। মো. ইমন দায়িত্বপালন করছেন কোতোয়ালী থানা এলাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *