রাতে ইবাদতের ফজিলত
ইবাদতের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে। আল্লাহ তায়ালাও মানুষের ইবাদতে খুশি হয়ে তাকে মাফ করে দেন এবং পরকালে তাকে চিরস্থায়ী জান্নাত দান করবেন।
মানুষ যেসব মুহূর্তে ইবাদত করে এর মধ্যে রাতের ইবাদত আল্লাহর কাছে সব থেকে বেশি প্রিয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘হে বস্ত্র আচ্ছাদনকারী (নবী)! উপাসনার জন্য রাত্রিতে উঠ (জাগরণ কর); রাত্রির কিছু অংশ বাদ দিয়ে; অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা অল্প। অথবা তদপেক্ষা বেশী। কোরআন তিলাওয়াত কর ধীরে ধীরে স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে। আমি তোমার উপর অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী। ইবাদতের জন্য রাত্রি জাগরণ গভীর অভিনিবেশ ও হৃদয়ঙ্গম করার পক্ষে অতিশয় অনুকূল।
অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর রাত্রের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বে – এ তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে এক প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।
এক হাদিসে রাসূল সা. বলেন, আল্লাহ তায়ালা প্রত্যহ রাত্রের শেষ তৃতীয়াংশে নীচের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, ‘কে আমাকে ডাকে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার নিকট প্রার্থনা করে? আমি তাকে দান করব। এবং কে আমার নিকট ক্ষমা চায়? আমি তাকে ক্ষমা করব।” (বুখারী, মুসলিম মিশকাত : ১২২৩)
মধ্য রাত্রির শেষাংশে আল্লাহ বান্দার অতি নিকটবর্তী হন। তাই ওই সময়ে বান্দার উচিত তার উদ্দেশ্যে নামাজ পড়া ও জিকির করা। প্রত্যেক রাত্রে এমন এক মুহূর্ত আছে যাতে আল্লাহর কাছে বান্দা যা চায়, তাই পেয়ে থাকে। রাত্রিতে ঘুম থেকে জেগে কেউ যদি এই পড়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে, তাহলে তা মঞ্জুর করা হয়।
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْم
উচ্চারণঃ – “লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহু হামদু অহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। সুবহা-নাল্লা-হি অলহামদু লিল্লা-হি অলা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, অলা হাওলা অলা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হিল আলিয়্যিল আযীম।