জাতীয়

অগ্নি সন্ত্রাসের হুকুমদাতাদের ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: অগ্নি সন্ত্রাসের হুকুমদাতাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাসের যারা হুকুমদাতা ও অর্থদাতা তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটাই করে যাচ্ছে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেওয়া হয়। ফলাফল ঘোষণার আগে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আরো পড়ুনঃ এইচএসসিতে চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭৩.৮১

সরকার কারও রাজনৈতিক অধিকারে কখনো হস্তক্ষেপ করেনি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ সাল থেকে যারা এই অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ পোড়ানো, তিন হাজারের ওপরে তারা মানুষ পুড়িয়েছে। সেখানে প্রায় কয়েক হাজারের মতো মানুষ মারাই গেছে। লঞ্চ, গাড়ি, বাস, ট্রেন—কিছুই বাদ যায়নি। সেই সময় যারা আসামি ছিল তারা পলাতক ছিল। যখন এই বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমমনা দলগুলি রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করেছে, তারা বহাল তবিয়তে এসেছে।

তারা যখন শান্তিপূর্ণ সভা করেছে, তখন কোনো বাধা দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু যখনই তারা আবার জ্বালাও-পোড়াও শুরু করলো, বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর থেকে তাদের যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড—পুলিশকে পিটিয়ে পিটিয়ে মারা, একটা বীভৎস দৃশ্য যা দেখলে সহ্য করা যায় না। এমনকি শুনলে আপনারা অবাক হবেন যে, রেললাইন কেটে রেখে দিয়েছে যেন বগি পড়ে যায়, ‍দুর্ঘটনা হয়। মানুষ হত্যার জন্য রেললাইন কেটেছে। স্থানীয় জনগণ সচেতন ছিল, তারা সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ জায়গায় জানিয়েছে বলেই কয়েকটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। তারপরও তারা ট্রেন পুড়িয়েছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, নারীদের ওপর হামলা করেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এখন তো প্রতিনিয়ত অগ্নিসন্ত্রাস করেই যাচ্ছে। ফলে এখন ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো একটা ভীতির অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ যতক্ষণ তারা সঠিকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছে, ততদিন কিন্তু তাদের কোনো অসুবিধা ছিল না। কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার পর এখন জনগণের কাছ থেকে তারা আবার সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ, একজন মানুষ হয়তো অনেক কষ্ট করে একটা বাস তৈরি করে, সেটা থেকে তার জীবন-জীবিকা চলে। সেটা যখন তার চোখের সামনে পুড়ে যায় বা বাসের ভেতরে হেলপার ঘুমিয়ে আছে, সেই অবস্থায় যখন একটা গাড়ি পোড়ায়, যারা এভাবে অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত বা যারা হুকুমদাতা, যারা অর্থদাতা, তদের আমরা কী করবো? তাদের কি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেব? না, তাদের বিরুদ্ধে আইন্শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *