চট্টগ্রাম

অস্ত্র দিয়ে কাউন্সিলরের ছেলেকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন যুবক

নগরীর বায়েজিদে ৯৯৯ এ কল দিয়ে হামালার অভিযোগে পুলিশ এনে অস্ত্র দিয়ে পাঁচলাইশ তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ছেলেসহ দুই জনকে ফাঁসানোর ঘটনায় উল্টো ফেঁসে গেছেন মো. ইমাম হাসান রিপন (৩৫) নামে এক যুবক।

শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার সময় বায়েজিদ থানাধীন ওয়াজেদিয়া পাঁচলাইশ তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা পূর্বকোণ অনলাইকে বলেন, অভিযুক্ত মো. ইমাম হাসান রিপনের সাথে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. সহিদুল ইসলামের চাচা হাসানুল ইসলামের সাথে দীর্ঘ দিন জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরে রিপন মো.সহিদুল ইসলামের পিতা কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামকে গালিগালাজ করে। গতকাল (শনিবার) রাতে আব্দুল কাদের সুজন নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে মো. সহিদুল ইসলাম রিপনের বাবার কাছে গালিগালাজের বিচার দিতে যান। এসময় রিপন তাদের ডেকে বাসার ভিতরে নিয়ে হামলা করেছে বলে শোর গোল করে আশেপাশের লোকজন জড়ো করে ৯৯৯ এ কল দেয়।

ওসি আরও জানান, ৯৯৯ এ কল পেয়ে বায়েজিদ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কাজী মোহাম্মদ তানভীরুল আজম তার টিম নিয়ে সাড়ে বারোটার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন রিপন হাতে একটি অস্ত্র ( কাঠের বাটযুক্ত এল.জি) নিয়ে এসআই আজমের কাছে ছুটে এসে জানায়, গত ১৫ই মার্চ আব্দুল কাদের সুজন ও হোসাইন নামের দুই ব্যক্তি বিরুদ্ধে হুমকির দেয়ার অভিযোগে বায়েজিদ থানায় সাধারণ ডায়েরি ( জিডি নং-১০২১) করে। জিডি করার কারণে বিবাদী তার বাসায় এসে আব্দুল কাদের সুজন ও কাউন্সিলরের ছেলে মো. সহিদুল ইসলাম অস্ত্র দিয়ে তার কপালে আঘাত করেছে। এসময় সে শোরগোল করে লোকজন জড়ো করে দুজনকে আটকে রেখেছে।

সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন ও এমনকি রিপনের মা-বাবাও অস্ত্র দিয়ে রিপনকে আঘাত করতে দেখে নাই বলে এসআই আজমকে জানায়। পরে এক পর্যায়ে এসআই আজমের কাছে রিপন স্বীকার করে যে, সে অস্ত্রটি দিয়ে আগত দুইজনকে ফাঁসাতে চেয়েছে। এসময় রিপন এই অস্ত্রের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে এসআই আজম রিপনের মোবাইল ও অস্ত্র হোফাজতে নিয়ে তাকে আটক করে। পরে আজ রবিবার (১৭ মার্চ ) তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি জানতে চাইলে পাঁচলাইশ তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল জানান, আমার ছেলে গিয়েছে রিপনেরর বাবার কাছে বিচার দিতে। এসময় রিপন কৌশলে তাদের অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা ও রিপনের মা-বাবা আমার ছেলের হাতে অস্ত্রতো দূরে থাক ছুরিও দেখেনি বলে সাক্ষ্য দেয়ায় সেই অস্ত্রসহ রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *