বিনোদন

আমি নিজেকে বিধবা মনে করি: ডা. সাবরিনা

দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত কয়েকমাস আগে মুক্তি পেয়েছেন জে কে জি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের কারাগারের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। যেখানে ডা. সাবরিনা জানিয়েছেন, কারাগারে কাটানো ওই দিনগুলোতে বাবা-মাকে ছাড়া কাউকেই পাশে পাননি তিনি।

সাবরিনা বলেন, কারাগারে আমাকে কেউ দেখতে যায়নি। শুধু বাবা-মা পাশে ছিলেন। পৃথিবীতে বাবা-মায়ের চেয়ে আপন কেউ নেই। সব কষ্টে তারাই পাশে থাকেন।

এসময় স্বামী আরিফুলের প্রসঙ্গ উঠতে সাবরিনা বলেন, ‘আমার স্বামী তো এখনও জেলেই আছে। তিনি আমার একমাস আগে থেকেই কারাবন্দি ছিলেন। সে আমার জন্য এখন মৃত। আমি নিজেকে বিধবা মনে করি।’

কারাগারে থাকার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, হাজতি হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা ছিল, কয়েদি হিসেবেও আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে। শ্রেণিপ্রাপ্ত আসামি ছিলাম আবার ডিভিশনের আসামিও ছিলাম। একদম যে নর্মাল ওয়ার্ড যেখানে ৩৫-৪৭ জন আসামি থাকে সেখানেও আমি থেকেছি। সেখানে ২টা কম্বল দেওয়া হতো বিছিয়ে ঘুমানোর জন্য। সবার জন্য মুঠম হাত জায়গা বরাদ্দ ছিল। সবাই আমাকে আদর করে চার আঙুল জায়গা বেশি দিত। তারা বলত বিসিএস ক্যাডার তাকে না হয় ৪ আঙুল জায়গা বেশিই দেই।

সাবরিনা আরও বলেন, ‘কারাগারে সবাই আমাকে চিনতো। আমি তো খুব ভাইরাল ছিলাম সে সময়ে। সবাই জানতো ডা. সাবরিনা তাদের সঙ্গে থাকছেন।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানের সিইও আরিফুল চৌধুরীসহ আটজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রত্যেককে তিন বছর কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারায় প্রত্যেককে চার বছর কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় প্রত্যেককে চার বছর কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *