চট্টগ্রাম

উত্তর চট্টগ্রামের ২৫ রুটে চলছে না গণপরিবহন, দুর্ভোগে যাত্রীরা

গ্রেপ্তার চার শ্রমিককে বিনা শর্তে মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তর চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ ২৫টি রুটে পরিবহন কর্মবিরতি পালন করছেন গণপরিবহন শ্রমিকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ রুটের যাত্রীরা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টা থেকে তারা এই ধর্মঘট পালন করছেন।

চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড় থেকে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, মালিকছড়ি, পানছড়ি, দীঘিনালা, মাটিরাঙ্গা, মহালছড়িসহ উত্তর চট্টগ্রামের ২৫ রুটে গাড়ি ছাড়ে।

কিন্তু শ্রমিকরা গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রী এবং মালিকরা।

শ্রমিকদের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া চার শ্রমিককে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কর্মবিরতি চলবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে অক্সিজেন বাস কাউন্টার থেকে উত্তর চট্টগ্রামের কোরো বাস ছেড়ে যায়নি। ফিরতি গাড়ি চট্টগ্রাম শহরেও প্রবেশ করেনি। এতে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে বের হওয়া যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকে সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও বাস না পেয়ে বেশি ভাড়ায় সিএনজি অটোরিকশা রওনা দেন।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই অনেক যাত্রী গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অক্সিজেনে এসেছেন। কিন্তু কোনো বাস নেই। তাই এ তীব্র গরমের মধ্যে তারা দোকানের সামনে ও ফিলিং স্টেশনে অপেক্ষা করছেন। অটোরিকশা করে এই গরমের পাহাড়ি পথে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া তারা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছে। বাস না পেলে বাধ্য হয়ে যেতে হবে।

মোহাম্মদ নিয়াজ উদ্দিন যাবেন খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায়। তিনি সকাল ১০টা থেকে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর নেমে এসেছে এরপরেও তীব্র গরমে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না। কিছু সিএনজি অটোরিকশা আসলেও শ্রমিকরা সেগুলো তাড়িয়ে দিচ্ছে। যাত্রী নিতে দিচ্ছে না। কি এক অবস্থায় পড়েছি! এদিকে তীব্র গরমে দাঁড়িয়ে থাকাও দায়।

আনোয়ার হোসেন নামে এক শ্রমিক নেতা জানান, ২৮ তারিখ বিনাদোষে আমাদের ৪ জন শ্রমিককে অক্সিজেন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিনা শর্তে মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের করতে হবে। আমরা সোমবার বিকেল ৫টা থেকে বাস বন্ধ রেখেছি। আমাদের শ্রমিক ভাইয়ের যতক্ষণ মুক্তি দেওয়া না হবে। ততক্ষণ আমরা বাস চালাবো না।

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, বাস তো আমরা বন্ধ রাখিনি। শ্রমিকরা বন্ধ রেখেছে। তারা এই কর্মবিরতি পালন করছে। আমরাও চাই মামলা প্রত্যাহার করা হোক। বিনা দোষে গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মুক্তি দেওয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *