চট্টগ্রামজাতীয়

এখনই সিঙ্গাপুর যাচ্ছে না সামিট, অপারেশনে ফিরেছে এক্সিলেন্স

সংস্কার শেষে অপারেশনাল কাজে ফিরেছে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ‘এক্সিলেন্স’। এক্সিলেন্স ফেরার পর আরেক ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ‘সামিট’ সংস্কারের জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি এখনই যাচ্ছে না। আপাতত দুটি টার্মিনালই একসঙ্গে অপারেশনাল কাজে যুক্ত থাকছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) কর্মকর্তারা বলছেন- প্রায় আড়াই মাস পর দুটি টার্মিনাল দিয়েই একসঙ্গে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে জাতীয় গ্রিডেও গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে। এতে দেশজুড়ে চলমান গ্যাসের তীব্র সংকট কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

আমদানি করা এলএনজি কার্গো মহেশখালীতে স্থাপন করা দুই ভাসমান টার্মিনাল দিয়েই খালাস করা হয়। এর একটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির ‘এক্সিলেন্স’। অন্যটি দেশীয় সামিট প্রাইভেটের ‘সামিট’। এ দুই টার্মিনালের রিগ্যাসিফিকেশন ক্যাপাসিটি দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।

গত ১ নভেম্বর সংস্কারের জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয় এক্সিলেন্সকে। এতে দুই টার্মিনালের একটি দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দেয়। রান্নায় ভোগান্তি, সিএনজি ফিলিং স্টেশনে যানবাহনের দীর্ঘ সারি, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন বিঘœ ঘটতে শুরু করে।

এরমধ্যে গত ৭ জানুয়ারি সংস্কার শেষে মহেশখালীতে ফিরে আসে এক্সিলেন্স। এরপর এই এলএনজি টার্মিনালের কমিশনিং শুরু হয়। সফল কমিশনিং শেষে আজ বৃহস্পতিবার থেকে এক্সিলেন্স ভাসমান টার্মিনাল দিয়ে ফের গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। এজন্য গতকাল থেকেই এক্সিলেন্স চালু করা হয়েছে।

এদিকে এক্সিলেন্স অপারেশনাল কাজে ফেরার পর আরেক ভাসমান টার্মিনাল সামিটকে সংস্কারের জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানোর সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন করা হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে আপাতত সামিটকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হচ্ছে না বলে আরপিজিসিএল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আরপিজিসিএল’র এলএনজি বিভাগের এক কর্মকর্তা পূর্বকোণকে জানান, শীতকালে এমনিতেই গ্যাস সংকট দেখা দেয়। এবার সংস্কারের জন্য এক্সিলেন্স টার্মিনাল দিয়ে গ্যাস সরবরাহ কয়েক মাস বন্ধ থাকায় সংকট আরো তীব্র হয়। এজন্য সামিট টার্মিনালকে আপাতত সংস্কারে পাঠানো হচ্ছে না।

তিনি বলেন, চলতি মাসের ২৩ ও ২৯ জানুয়ারি দুই কার্গো এলএনজি আসছে। ইতোমধ্যে এক কার্গো এলএনজি খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। দুই টার্মিনাল একসঙ্গে অপারেশনাল কাজে যুক্ত থাকলে এসব কার্গো দ্রুত খালাস করা সম্ভব হবে। এতে স্বাভাবিকভাবেই গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে।

আরপিজিসিএল’র এমডি প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। আপাতত দুটি টার্মিনালই অপারেশনাল কাজে যুক্ত থাকছে। মন্ত্রণালয় যখন যে সিদ্ধান্ত আমাদের জানাবে, আমরা সেভাবে কাজ করবো।

পেট্রোবাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী- গতকাল দেশে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২ হাজার ৫৩৯ মিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এসেছে সামিটের টার্মিনাল থেকে। আজ বৃহস্পতিবার এক্সিলারেটের টার্মিনাল দিয়ে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে তা কয়েকশ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *