এনসিটিসহ বন্দরের অর্থায়নের স্থাপনা বিদেশিদের না দেওয়ার দাবি
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিসিটি ও এনসিটিসহ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত কোনো স্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে বন্দর কর্মচারী পরিষদ সিবিএ।
সোমবার (৩ জুন) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের সঙ্গে দেখা করে সিবিএ নেতারা স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিবিএ সভাপতি মো. আজিম, সহ সভাপতি নাদির উদ্দিন পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক মো. নায়েবুল ইসলাম ফটিক, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন দস্তগির, প্রচার সম্পাদক আক্তারুজামান মাসুম, অর্থ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, ফিরোজ আহম্মেদ জাবেদ, আশীষ কান্তি প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি।
এই বন্দর বাংলাদেশের অহংকার। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও অর্থনীতির ভিত্তি মজবুতে এই চট্টগ্রাম বন্দর সুনামের সঙ্গে রাজস্ব আদায়ে ভূমিকা রাখছে। চট্টগ্রাম বন্দর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট বন্দর হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি বিশ্বের আধুনিক বন্দরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত সিসিটি, এনসিটিসহ বিভিন্ন স্থাপনা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের আমদানি রপ্তানিতে বিশাল ভূমিকা রাখছে সিসিটি, এনসিটি। এ রকম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বন্দর, জিম্মি হবে দেশের অর্থনীতি; ক্ষতিগ্রস্ত ও চাকরিচ্যুত হবে বন্দরের কর্মচারীরা। এরূপ সিদ্ধান্তের ফলে শ্রম অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।
দেশের ১৭ কোটি মানুষের পবিত্র আমানত বাংলাদেশর অর্থনীতির একমাত্র সোনালি হাঁস চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘাম, শ্রম ও মেহনতি শ্রমিক-কর্মচারীদের ২৪ ঘণ্টা সাত দিন নিরলস পরিশ্রমে আজকের আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়েছে। দেশের এই সম্পদ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে জিম্মি হতে দেওয়া যায় না।
স্মারকলিপিতে বন্দরের অর্থায়নে নির্মিত সিংহভাগ আয়ের উৎস সিসিটি, এনসিটিসহ কোনো স্থাপনা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে না দেওয়ার আকুল আবেদন জানান সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।