জাতীয়

ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধে স্বাস্থ্য সচিব ও ওষুধ প্রশাসনকে নির্দেশ

খেয়াল খুশিমতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধে স্বাস্থ্য সচিব ও ওষুধ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে।একইসঙ্গে অব্যাহতভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

অন্যদিকে, ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোকে বলা হয়েছে যাতে সরকারের অনুমোদন ব্যতীত কাঁচামাল আমদানি করতে না পারে। এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে ‘স্বেচ্ছাচারী ও আইনবহির্ভূতভাবে’ ওষুধ কোম্পানিগুলোর ওষুধের দাম বৃদ্ধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। যেসব কোম্পানির ওষুধের দাম ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট-২০২৩-এর ৩০ ধারা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়নি, সেগুলোর কাঁচামাল আমদানি ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের ৩০ ধারা অনুযায়ী সব ওষুধের দাম নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং একই আইনের ৭৬ ধারা অনুযায়ী একটি বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে সব ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে রুল জারির আবেদন জানানো হয় রিটে। রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ওষুধের দাম নির্ধারণের জন্য বিচারিক নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশনা চায়া হয়েছিল।

রিটে আরও বলা হয়, সরকার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে সরকার এ ধরনের কোনো গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেনি। গত ১৫ মাসে ১১৭টি ওষুধের দাম ১৩ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে কিন্তু সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো দৃষ্টিপাত করেনি। ওষুধের দাম বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালকের। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *