কক্সবাজারচট্টগ্রাম

কক্সবাজারগামী ট্রেন ঘেঁষে চলছে সেলফি ও আড্ডাবাজি

চট্টগ্রাম: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে স্টেশনে প্রায় প্রতিদিনই সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে পুলিশ ও রেললাইনের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কখনো কখনো এসব স্টেশনে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করেন খোদ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজারের নেতৃত্বে গঠিত টিম। তবে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হলেও এখনো শুরু হয়নি সচেতনতামূলক কার্যক্রম।

এ রুটে নতুন ট্রেন দেখে সব বয়সী মানুষ রেললাইনের পাশে ছুটে আসছেন। কেউ সেলফি তুলছেন আবার কেউ ছুঁয়ে দেখছেন দ্রুত ছুটে চলা ট্রেন। ১৮৯০ সালের রেল আইনে রেললাইনের দুই পাশে ১০ ফুটের মধ্য দিয়ে মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ। এমনকি এর মধ্যে গরু-ছাগল ঢুকে পড়লে সেটিকেও নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। রেলে কাটা পড়ে কেউ আহত হলে উল্টো ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে রেলওয়ে। আইন থাকলেও তা মানার প্রবণতা নেই।

কক্সবাজার রুটে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও উৎসুক কিছু সংখ্যক মানুষকে রেললাইনের ওপর দিয়ে দ্রুত হেঁটে ও দৌড়ে রাস্তা পার হতে দেখা যায়। তাদের কেউ স্কুল শিক্ষার্থী, দর্শনার্থী, কেউবা সাধারণ পথচারী। উঠতি বয়সী তরুণরা ব্যারিকেডের ফাঁকা জায়গা দিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে রেললাইন পার হচ্ছে। কেউ আবার মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হচ্ছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে আসে কক্সবাজার এক্সপ্রেস। ট্রেনটি প্রচণ্ড গতিতে রামু স্টেশন পার হওয়ার সময় এক তরুণকে নির্ভাবনায় চলন্ত রেলগাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। দ্রুতগতিতে রেল চলাচলের ফলে বাতাসের গতিতে নিজেকে সামলাতে না পেরে ওই তরুণ নিচে পড়ে যায়। ট্রেন দেখতে ছোট শিশুরাও চলে আসছে রেললাইনের কাছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার রুটে যেহেতু ট্রেন চলাচল শুরু করেছে সেহেতু সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে ঘটেছে কয়েকটি দুর্ঘটনা। এ রুটে অবাধে চলাফেরা করছে গরু- ছাগল। এলাকার মানুষ জানে না নিয়ম-কানুন।

গত ৭ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে লোহাগাড়ায় রেললাইনে দাঁড়িয়ে চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে মো. রাশেদ আবিদ নামে যুবক গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এখনো চিকিৎসাধীন রাশেদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *