চট্টগ্রামরাজনীতি

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই বিজয়ী হয়েছি: নুরুল ইসলাম

সাংবাদিকদের সাথে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৮ চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ-বোয়ালখালী আসনে বিজয়ী আবদুচ ছালাম এর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ পরিষদের সদস্য সৈয়দ নুরুল ইসলাম সিআইপি’র শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা নগরী ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সের মিটিং রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সৈয়দ নুরুল ইসলাম জনগণের অংশগ্রহন মূলক সুষ্ঠ, সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের অসামান্য ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

নির্বাচনের একেবারে শেষের দিকে চান্দগাঁওয়ের কিছু এলাকায় বোমাবাজি ও ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনাকে অনভিপ্রেত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার গাড়িতেও ককটেল হামলা চালানো হয়েছে। সৃষ্টিকর্তার অসীম করুনা ও মানুষের দোয়ার বরকতে প্রাণে রক্ষা পাই।

এ হামলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্বাচন বানচালের যে অপচেষ্টা বিএনপি জামাত করেছে এটা তার অংশ হতে পারে অথবা পরাজয় নিশ্চিত জেনে প্রতিদ্বন্ধিদের কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেও এ সন্ত্রাস সৃষ্ঠি করতে পারে।

সুষ্ঠ তদন্ত করে এর প্রকৃত কারণ বের করা এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরী। সবদিক বিবেচনায় আমাদের জন্য নির্বাচনটা ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জনগণের ভালবাসা নিয়ে বিজয় অর্জন করার মধ্যে গৌরব ও আনন্দটা বেশীই বোধ করছি।

ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র ও যুব রাজনীতি করে এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। আমরা পুরো পরিবারটাই আজীবন আওয়ামী পরিবার।

আমার বড় ভাইসহ আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করার। কেটলি প্রতিকে নির্বাচন করতে গিয়ে, জনমূখে যখন শ্লোগান শুনেছি-কেটলি মার্কায় দিলে ভোট, নৌকায় গিয়ে পড়বে সে ভোট; তখন বুঝেছি আমার পরিবারের আওয়ামী রাজনীতিতে কোন ভুল হয়নি।

উপস্থিত সাংবাদিকরা অত্যন্ত আস্থা নিয়ে মন্তব্য করেন, নানা কারণে ঝুলে থাকা কালুরঘাট সেতুটা আবদুচ ছালাম এর মাধ্যমে এবার নিশ্চয়ই আলোর মুখ দেখবে।

সম্প্রতি এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন আমি কেবল কালুরঘাট সেতু নির্মান করে বসে থাকতে চাইনা, চাই শহরের সাথে সংযুক্ত বোয়ালখালীর সামগ্রিক উন্নয়ন। শহরের সাথে সহজ সংযোগ স্থাপন করতে হলে এ এলাকার মানুষের হৃদয়ের দাবী কালুরঘাট সেতু নির্মান করা অপরিহার্য।

বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় কর্মবীর আবদুচ ছালামের হাত ধরে আমরা নিশ্চয়ই আগামী দু বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মান কাজ দৃশ্যমান অবস্থায় দেখতে পাব ইনশাল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *