চট্টগ্রামরাজনীতি

চট্টগ্রামের ১১৭ প্রার্থীর মধ্যে ৯৭ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ১১৭ প্রার্থীর মধ্যে ৯৭ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে এমন পাঁচটি আসন আছে, যেখানে জয়ী প্রার্থী ছাড়া অন্যদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এছাড়া একটি আসনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ভোট শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে এক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী জানান, যেকোনো আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সে হিসেবে যারা প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাননি, তাদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হিসেবে বিবেচনা হবে।”

রোববার দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা- বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আসনগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম-৪, ৬, ৭, ৯ ও ১৩-এই পাঁচটি আসনে জয়ী প্রার্থী ছাড়া অন্য সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫২৩ জন। তার মধ্যে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬২টি। সে হিসাবে এ আসনে জামানত ফেরত পেতে প্রার্থীদের প্রত্যেককে সর্বনিম্ন ১৮ হাজার ১৩৩টি ভোট পেতে হবে।

এ আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা সাত জন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল ৮৯ হাজার ৬৪ ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট। তার বাইরে অন্য কোনো প্রার্থী এক হাজার ভোটও পাননি। সে হিসাবে এ আসনে পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ জন। তাদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৫ জন। সে হিসাবে এ আসনে একজন প্রার্থীর জামানত টিকিয়ে রাখতে ভোটের প্রয়োজন ১৮ হাজার ৬৮৩টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *