কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময়
কিশোর অপরাধ দমন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রামে কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং চান্দগাঁও থানার উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাঁচলাইশ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির।
আরও উপস্থিত ছিলেন মোহরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী নুরুল আমিন মামুন, থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী, মোহরা ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি এস এম আনোয়ার মীর্জা, কমিউনিটি পুলিশিং বিট নম্বর-৪০ এর সভাপতি আলমগীর, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির উপদেষ্টা রফিক কোম্পানি প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং সমাজের জন্য মারাত্মক ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কারণে সমাজের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে, এই গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। উঠতি বয়সের ১৫-১৭ বছরের কিশোররাই কিশোর গ্যাংয়ে পরিণত হচ্ছে। তাদের কাজ হচ্ছে মানুষকে উত্ত্যক্ত, ইভটিজিং, বকাবকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, হুমকি দেওয়া, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের উদ্দেশ্যে বাজে মন্তব্য করা, মারামারি, দাঙ্গা ইত্যাদি। উক্ত অপরাধের পাশাপাশি তারা মাদকের ভয়াল নেশায় আসক্ত হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে এই ধরনের কিশোরদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়।
কিশোরদের অপরাধ দমনে তাদের করণীয় বিষয় সমূহ:
# সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
# পারিবারিকভাবে ভাল-মন্দ বিষয়ক শিক্ষা দেওয়া।
# কিশোরদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা।
# পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধূলার ব্যাবস্থা করা।
# কিশোরদের তার মা-বাবার উচিত পর্যাপ্ত সময় দেওয়া।
# তাদের সহিত পারিবারিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।
# তারা কার সাথে মেলামেশা করে তার খোঁজ খবর নেওয়া।
# তারা কখন বাসায় ফিরছে এবং কোথায় কার সাথে ঘোরাফেরা করছে তার খোঁজ খবর নেওয়া।
# তাদের বিখ্যাত লেখকদের গল্পের বই পড়ায় আগ্রহী করা।
কিশোররা যেন তাদের পরিবারের রোগ না হয়ে ঘরের আলো হয়ে ওঠতে পারে তার ব্যবস্থা করা। কিশোররা যেন সমাজের বিষ ফোঁড়া না হয়ে আগামীর ভবিষ্যৎ হয়ে উঠতে পারে তার ব্যবস্থা করা। তাদের প্রতি স্নেহ, ভালোবাসা, যত্ন বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের অংশ হিসাবে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পুলিশের কাজে সহযোগিতা, অপরাধবিরোধী সচেতনতা তৈরি, বাল্যবিবাহ রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, মাদক নির্মূল, জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস দমন, মাদকের কুফল, নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুকনিরোধ, বাল্য বিবাহ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার, সামাজিক মূল্যবোধ বাড়ানো ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।