চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম কারাগারে হাজতির মৃত্যু, নির্যাতনের দাবি পরিবারের

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রুবেল দে নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। বুকে ব্যথা অনুভব করার পর আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বজনদের দাবি, কারা অভ্যন্তরে শারীরিক নির্যাতনের কারণে রুবেলের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে জেল সুপার বলছেন, রুবেল ‘উইথড্রল সিন্ড্রোম’ নামে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।

রুবেল দে বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জ্যৈষ্ঠপুরার বাসিন্দা সুনীল দের ছেলে। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি কারাগারের ৩ নম্বর পদ্মা ওয়ার্ডে বন্দি ছিলেন।

রুবেলের খালাতো ভাই রাজীব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ২৮ জানুয়ারি ও সর্বশেষ ২ ফেব্রুয়ারি রুবেলের সঙ্গে কারাগারের সাক্ষাৎ কক্ষে দেখা হয়। তখন সে হাঁটতে পারছিল না। চার কারারক্ষী হুইল চেয়ারে করে তাকে নিয়ে এসেছিল। রুবেলের ডান ভ্রু ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি।’

এদিকে রুবেলের মরদেহের সুরতহাল করা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, ‘রুবেলের চোখের ওপরে ও কপালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার শরীরের কয়েকটি স্থানে ও দুই হাতের কবজিতেও দাগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

চট্টগ্রাম কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘মাদক নেওয়ার কারণে রুবেল ‘উইথড্রল সিন্ড্রোম’ নামে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে তিনি বুকে ব্যথার কথা বললে আমরা তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। কারাগারে কারারক্ষী বা অন্য বন্দি তাকে নির্যাতন করেনি। মানসিক সমস্যার কারণে রুবেল ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারতেন না। হয়তো টয়লেটে যাওয়ার সময় ছোটখাটো আঘাত পেয়েছেন। এ ছাড়া হাতকড়া লাগানোর কারণে কবজিতে দাগ তৈরি হতে পারে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *