খেলা

কোনো অজুহাত নেই মুমিনুলের কাছে

একের পর এক ইনিংসে ব্যর্থতা। দৃষ্টিকটু সব আউট হয়ে ব্যাটারদের সাজঘরে ফেরার মিছিল।

বাংলাদেশের টেস্টে এটিই যেন হয়ে পড়েছে নিয়তি। প্রায় প্রতি ম্যাচেই সঙ্গী হচ্ছে ব্যাটিং ব্যর্থতা। সবশেষ পাঁচ ইনিংসেই দুইশ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি বাংলাদেশের রান।

অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এখন অবধি ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান করেছে বাংলাদেশ। তবুও তাদের সামনে অপেক্ষায় বড় হার। এ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে স্রেফ ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দলটির এমন ব্যর্থতার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হক।

চট্টগ্রামে চতুর্থ দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই সিরিজ ধরেন আমরা ব্যাটিং ওয়াইজ পুরো কলাপ্স করছি। এটার কোনো অজুহাত নেই যে আমরা কোনো ইয়ে (অজুহাত) দিতে পারবো না। আসলে আমরা ব্যাটিংয়ে খুব বাজে ব্যাটিং করছি অ্যাজ এ টিম ওয়াইজ। ’

‘যতটুক আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী … যতটুক আমাদের করা দরকার যেহেতু নিউজিল্যান্ড সিরিজে প্রথম টেস্ট আমরা করতে পেরেছি বা করে দেখিয়েছি আমার মনে হয় যে ওই হিসেবে চিন্তা করলে পুরো সিরিজ হিসেবে আমরা কোনো সময়ই যেখানে যা যেখানে ক্লিক করা দরকার যেখানে যা করা দরকার কোনভাবে আমরা ওইভাবে পারিনি।’

সিলেটে প্রথম টেস্টে ৮৭ রান করেছিলেন মুমিনুল হক, সেটিই ছিল পুরো ম্যাচে দলের কোনো ব্যাটারের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি। এ ম্যাচেও প্রথম ইনিংসে ৩৩ রান করেছিলেন মুমিনুল, খেলেছিলেন ৮৪ বল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রান করেছেন ৫৬ বলে। এই ইনিংসে কি একটু আক্রমণাত্মক খেলেছেন?

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না যে আক্রমণাত্মক .. কেননা সেকেন্ড ইনিংসে উইকেটটা ভালো ছিল। আর আমি চেয়েছিলাম যে, শুধু আক্রমণাত্মক না স্বাভাবিক ক্রিকেটটাই খেলার। যদি শুধু ব্লক ব্লক ব্লক খেলি তাহলে বোলার একটা জায়গা স্পেস তৈরি হয়ে যায়। ’

‘আপনি যদি পেস বলে খেলা দেখেন পেস বলে আমি কোনো রাশ শট যেগুলো বলে সেগুলো একটাও খেলি নি। স্পিনে আমার যেসব জায়গায় আমার জোন সেসব জায়গায় আমি ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়েছি। ফার্স্ট ইনিংসে অনেক সময় নিয়ে খেলেছি হয়তো ফার্স্ট ইনিংসে…। ’

‘আমার মনে হয় আপনি যখন বলবেন তখন আপনার ওই বলাটার একটা ওয়ে থাকতে হবে। ওয়ে মানে আপনার এমন একটা শুনতেও ওই রকম লাগবে। আমি যদি রাইট আর্ম স্পিনারকে যদি এগিয়ে মারতাম তাহলে মনে হতো যে আক্রমণাত্মক। আমি যেটা নিয়েছি, ক্যালকুলেটিভ রিস্ক। যেটা আমার কাছে মনে হয়। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *