খাল উদ্ধারে নেমেছে সিডিএ
প্রায় উধাও হতে যাওয়া একটি খাল উদ্ধারে নেমেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় গতকাল সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৪০টি বহুতল ভবনের দখলকৃত অংশ উচ্ছেদ করা হয়। এরমধ্যে বহু ভবনেরই নিচতলা ভেঙে দেয়া হয়েছে। উপরের দিকে ভবন মালিকেরা নিজ উদ্যোগে ভাঙার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ তলা, ১০ তলা, ১২ তলা ভবনও রয়েছে। রয়েছে অনেকগুলো আবাসিক ফ্ল্যাট।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ( যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) তাহমিনা আফরোজ চৌধুরীর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই সময় প্রকল্প পরিচালক মঈনুদ্দিন, কাজী কাদের নেওয়াজ, দীপক বডুয়া, বিমান বডুয়া, তোফায়েল হোসেন, আবু জাফর পেশকার ফয়েজ আহমেদ, লিটন চন্দ্র দাস, মিথু চৌধুরী, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী রোববার সকাল থেকে আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে বলে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন জানান, আমরা অনেকগুলো ভবন ভেঙে দিয়েছি। ১৬ তলা, ১২ তলা এবং ১০তলা ভবনের পাশাপাশি চার–পাঁচ তলা উচ্চতার ভবনও খালের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ভবনের খাল দখল করে গড়ে তোলা অংশ ভেঙে ফেলা হবে। আজ আমরা ভাঙা শুরু করলে বাসিন্দাদের অনেকেই সময় প্রার্থনা করেন। তারা নিজেরাই ভবন ভেঙে খালের জায়গা খালি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। যারা নিজেরা ভেঙে জায়গা পরিস্কার করে দেবেন তাদের আমরা কয়েকদিন সময় দেবো। তবে আগামী রোববারের মধ্যে যারা নিজ উদ্যোগে ভাঙার কাজ শুরু করবে না সেগুলো আমরা নিজেরাই ভেঙে দেবো।
স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টারের পাশ থেকে জামালখান এবং সিরাজউদ্দৌলা রোড হয়ে চাক্তাই খালে যুক্ত হওয়া দুই কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের খালটি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই খালটির পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নগরীতে ৮১টি খাল ছিল। যেগুলো দখলের পর উধাও হয়ে গেছে। বর্তমানে খালের সংখ্যা ৫৭টি। জামালখান খালটিও দখল হয়ে গেছে বলে প্রকল্প পরিচালক মন্তব্য করেন।
সিডিএর দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, জামালখান খালের দুপাড়ে অনেক প্রভাবশালীর বাড়ি ঘর এবং বড় বড় অট্টালিকা রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এই উচ্ছেদ অভিযান থামানোর জন্য অতি প্রভাবশালীদের পক্ষ থেকে চাপ আসছিল। সিডিএ জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সব চাপ উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।