জাতীয়

গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত, বিদ্যুৎহীন ৩০ লাখ গ্রাহক

ঘূর্ণিঝড় রেমালে বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রাথমিক ধাক্কায় দুইজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন দুর্গত জেলাগুলোর ৩০ লাখের বেশি গ্রাহক।

বাতাসের গতি বেড়ে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব দৃশ্যমান হতে শুরু করলে একের পর এক উপকূলের জনপদ বিদ্যুৎবিহীন হতে শুরু করে সন্ধ্যার পর থেকে। দমকা বাতাসে গাছপালা ভেঙে কিংবা উপরে পড়ার কারণে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ঝড়ের মধ্যে সোমবার সকাল নাগাদ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।

এদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে সাত-আট ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের চাপে সাতক্ষীরা, বরগুনাসহ কয়েক জেলায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে শত শত গ্রাম।

তবে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র বোঝা যাবে সকাল হওয়ার পর। উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে এ ঝড়ের পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসতে সোমবার ভোর হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান অবশ্য রোববার রাত ৯টা সময়ই সংবাদ সম্মেলন করে ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির’ খবর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ঝড়ের মধ্যে মানুষ ‘অনেক বিপদের মধ্যে’ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে পুরো বিষয়টি মনিটরিং করছেন। আমাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। তথ্য-উপাত্ত নিচ্ছেন আমাদের কাছ থেকে। তার পরামর্শ নিয়ে সমস্ত শক্তি সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন ও কাজ করছি।

গত ২২ মে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় শনিবার সন্ধ্যায়। তখন এর নাম দেওয়া হয় রেমাল। রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকায় মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয় তখন। রোববার মধ্যরাতে আবহাওয়া অফিসের দেওয়া বুলেটিনেও ওই সংকেত বহাল রাখার কথা বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *