কক্সবাজার

চকরিয়ায় স্কেভেটর ও দুটি ডাম্পার জব্দ, তিনজনকে কারাদণ্ড

কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নূনাছড়ি এলাকায় জামায়াত নেতার নেতৃত্বে বিশাল পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছিল। গত মঙ্গলবার রাতের আঁধারে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটার খবরে থানা পুলিশের সহায়তায় ঝটিকা অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।

এ সময় পাহাড় সাবাড়ে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর, মাটি পরিবহনে নম্বরবিহীন দুটি ডাম্পার ট্রাক জব্দ করা হয়। তন্মধ্যে একটি ট্রাকে পাহাড়ের মাটি ভর্তি রয়েছে। অভিযানকালে গ্রেপ্তার করা হয় পাহাড় কাটায় নিয়োজিত তিনজনকে। তবে মূল হোতা জামায়াত নেতা এবং পাহারায় থাকা স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন।

চকরিয়া থানা পুলিশ জানায়, পাহাড় কাটার সময় হাতেনাতে ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মামলা রুজুর পর প্রত্যেককে একমাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার গোরস্থান পাড়ার শাহজাহান মনসুরের ছেলে মো. শেফায়েত, মো. জালালের ছেলে মো. ইয়াছিন ও আজগর আলীর ছেলে মো. মিজান।

অভিযোগ উঠেছে, মূল হোতা জামায়াত নেতা তার পাহাড় কাটার জন্য গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে শ্রমিক নিয়োগ করেন। আর পাহারায় থাকা স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ পাহাড় কাটা সেই মাটি ডাম্পার ট্রাকে করে অন্যত্র বিক্রি করছিলেন।

এই বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পাহাড় কেটে মাটি সরানোর খবরে তাৎক্ষণিক ইউএনও’র নেতৃত্বে অভিযানে গিয়ে স্কেভেটর ও দুটি নম্বরবিহীন ডাম্পার ট্রাক জব্দ করেছি। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় পাহাড় সাবাড়ে নিয়োজিত তিন শ্রমিককে।’

ওসি চকরিয়া বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে আজ (গতকাল বুধবার) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি।’

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড় সাবাড়ের নির্দেশ দাতাসহ যারা জড়িত সবার বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে। তারা সরজমিন পরিদর্শন করে মামলা রুজু করবে, সেই বিষয়ে কথা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *