চট্টগ্রামের আড়তে পেঁয়াজের মজুত কম
নগরের দুই পাইকারি বাজার চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জের অধিকাংশ আড়তে পেঁয়াজের মজুত দেখা যায়নি। দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারেও ক্রেতার সংখ্যা কম। আড়তদারেরা বলছেন, বাজারে ক্রেতা প্রায় নেই। যাঁরা আসছেন, তাঁরাও দাম শুনে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। এদিকে পচনশীল পণ্য হওয়ায় লোকসান গুনতে হবে বলে ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায় আছেন।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের বৃহত্তর দুই পাইকারি বাজার চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ আড়তে পেঁয়াজ নেই। খাতুনগঞ্জে চিরাচরিত ব্যস্ততার দেখাও মেলেনি। অল্প কজন ক্রেতা পেঁয়াজের বাজারে এলেও কিনতে অনীহা তাঁদের।
নগরের বহদ্দারহাট বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা মুদিদোকানি মোহাম্মদ আনিস বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম দেখতে এসেছিলেন। আজও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই দামে কিনে খুচরায় ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হবে। তবে এই দামে ক্রেতারা কিনবেন না, তাই আর পেঁয়াজ কেনেননি তিনি।
ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার খবরে গতকাল শনিবার দেড় থেকে দ্বিগুণ বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে এদিন সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের বাজারগুলোতেও অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে অভিযান চালায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
অভিযানের পর বাজারে ও আশপাশের মুদিদোকানগুলোয় তুলনামূলক কম পেঁয়াজ তুলছেন ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী মার্কেট ও কর্ণফুলী কমপ্লেক্স বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে পেঁয়াজ নেই। প্রতিটি বাজারের দু-তিনটি দোকানে পেঁয়াজের দেখা মিললেও দাম ২০০ টাকার আশপাশে। কিছু দোকানি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করলেও বাজারে ক্রেতা নেই।
খুচরা পর্যায়ে ক্রেতা না থাকায় পাইকারি বাজারেও ক্রেতাসংখ্যা কম। বাজারে পেঁয়াজবোঝাই বড় ট্রাক দেখা যায়নি। আশপাশের জেলার মোকামগুলো থেকে ছোট গাড়িতে কিছু পেঁয়াজ এসেছে।