চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে কমছে তাপমাত্রার পারদ, বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ

চট্টগ্রাম: পৌষ সংক্রান্তির আগে অনেকটা নামলো তাপমাত্রার পারদ। জেঁকে বসেছে শীত। ভোরে ঘন কুয়াশা বাড়িয়েছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পর থেকে হিমেল বাতাসে রাতে শীতের অনুভূতি। আর এতে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।

আবহাওয়াবিদদের মতে, বছরের এ সময়ে উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবেশ করে। এ সপ্তাহের শেষে কিংবা আগামি সপ্তাহের শুরুতে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বাতাস প্রবেশ করতে পারে। এতে তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কমে আসতে পারে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১২ জানুয়ারি নগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। এছাড়া ১৩ জানুয়ারি নগরে রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। ১৪ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুল বারেক জানান, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়াসহ আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থা জানুয়ারির পুরো মাসজুড়ে থাকবে। ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও ঝোড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ২০ জানুয়ারির পর আবার মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

তিনি আরও জানান, দেশে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পার্থক্য গত দুই-তিনদিনে কমে গেছে। এছাড়া বাতাসের গতিবেগও বেড়েছে। সেই সঙ্গে ওপরের ঠান্ডা বাতাস ভূমির দিকে নেমে এসেছে। এ কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে শীতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত নানা রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। শীতের তীব্রতায় চট্টগ্রামে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের ব্যবসা। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমলে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা বেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *