চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে টিআই অমলেন্দুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

বাস-ট্রাক, পিকআপ, ফুটপাত, কাউন্টার এমনকি অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা কোনো কিছুই বাদ যায় না। মাসিক চাঁদা ওঠে প্রায় আট লাখ টাকা। পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার মোড়, সাগরিকা মোড়, বিটাক, সাগরিকা ও পাহাড়তলী মোড়ে গাড়ি চালাতে হলে অমলেন্দুকে চাঁদা দিতে হবেই। এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ টিআই অমলেন্দুর বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অলংকার থেকে একে খানের মাঝামাঝি সড়কের পাশেই গড়ে ওঠেছে মাইক্রোস্ট্যান্ড। প্রতি মাসে ওখান থেকে ৫০ হাজার টাকা নেন টিআই অমলেন্দু। বিটাক শিল্প এলাকায় অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে মাসে ৪০ হাজার টাকা নেন টিআই অমলেন্দু। সাগরিকা রোডে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেন ৬০ হাজার টাকা। ফুটপাতের দোকানীরা বলেন, অবৈধভাবে দোকান করি তাই বাধ্য হয়ে টিআইকে চাঁদা দিচ্ছি।

আরও জানা যায়, মাসের ১-৮ তারিখ মধ্যে চাঁদার টাকা তোলা হয়। টিআই অমলেন্দুর হয়ে চাঁদা তোলেন ক্যাশিয়ার লিটন, টিআই অমলেন্দু ও তার ছেলে। ক্যাশিয়ার লিটন বলেন, আমি ছোট মানুষ টিআই অমলেন্দু স্যারের সঙ্গে অফিসে থাকি, উনার হয়ে কাজ করি।

অভিযোগের বিষয়ে টিআই অমলেন্দুকে ফোন দেওয়া হলে কেটে দেন। আর ফোন রিসিভ করেননি। টিআই অমলেন্দুর চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল মান্নান যুগান্তরকে বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। দোষ প্রমাণিত হলো অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *