চট্টগ্রামে মিথ্যা পরিচয়ে বিয়ে, স্বামীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় মিথ্যা পরিচয়ে বিয়ে করে এক সপ্তাহ স্বামী-স্ত্রীর মতো থেকে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ রায় দেন।
ভুক্তভোগী ১৯ বছরের এক তরুণীকে পরিচয় গোপন রেখে বিয়ে করায় স্বামী নুরুল কবির (৩৩) ও তার সহযোগী মো. শহীদ (৩২), মো.শরীফ (৩২) ও মো. বাপ্পীকে (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি আসামি নুরুল কবির নিজের পরিচয় গোপন করে তরুণীর বাড়িতে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় কাজীকে ভুয়া নাম ও ঠিকানা সম্বলিত জন্ম নিবন্ধন কপি কাজীকে এনে দেন তার সহযেগীরা। এর এক সপ্তাহ পর কবির তরুণীকে তার সঙ্গে শহরে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন, কিন্তু তরুণী রাজি না হওয়ায় তাকে একা রেখে পালিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা নুরুলকে আটক করে।
এ ঘটনায় ওই তরুণী স্বামী নজরুল কবিরাসহ তার ৩ বন্ধুকে আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় প্রতারণা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। বুধবার এ মামলার রায় হলো।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, বিয়ে করে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণার মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামীসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে উপস্থিত শরীফ ও শহীদকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে অনুপস্থিত নুরুল কবির ও মো. বাপ্পীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।