চট্টগ্রামজাতীয়

চট্টগ্রামে হরতাল অবরোধের ধাক্কা ব্যবসা-বাণিজ্যে

চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। কমেছে বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। যেগুলো আসছে তাতে পরিবহনে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। ফলে বাড়ছে পণ্যের দাম। একই সঙ্গে ক্রেতা না থাকায় কমেছে বিক্রিও। লেনদেন কমেছে অর্ধেকের বেশি। সবমিলিয়ে বাজারে বিরাজ করছে স্থবিরতা।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে মেসার্স ইদ্রিস এন্টারপ্রাইজে মজুত চায়না রসুন আমদানিতে খরচ হয় ১৫৭ টাকার বেশি। বাজারে ক্রেতা না থাকায় পচনশীল পণ্যটি বাধ্য হয়ে বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ১৫২ টাকায়। কিন্তু এরপরও তেমন মিলছে না ক্রেতা। আড়তদার মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ১ কেজি রসুন বিক্রি করছি ৭ থেকে ৮ টাকা। তবু ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

একই অবস্থা পেঁয়াজের বাজারেও। দফায় দফায় অবরোধে বাজারে সরবরাহ কমেছে অর্ধেকে। কিন্তু এরপরও নেই ক্রেতা। ফলে বেশিরভাগ সময়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, গেলো ২ সপ্তাহে বিক্রি কমেছে ৫০ ভাগ।

এক বিক্রেতা বলেন, হরতাল-অবরোধে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য খুব খারাপ যায়। কারণ, দূর-দূরান্তের ক্রেতারা আসতে পারেন না। অপর বিক্রেতা বলেন, প্রতিদিন আমাদের ২ গাড়ি মাল নামে। এখন নামছে ১০০ বস্তা। এর মানে বিক্রি কম হচ্ছে।

কেবল পেঁয়াজ ও রসুন নয়, হরতাল-অররোধে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সবধরনের পণ্যে। মহাসড়কে আতঙ্কের কারণে যেমন সরবরাহ কমেছে, তেমন বাজার থেকেও কোনও পণ্য যাচ্ছে না আশপাশের জেলাগুলোতে। ঝুঁকি নিয়ে যারা পণ্য আনছেন তারাও আদায় করছেন দ্বিগুন ভাড়া।

এক পণ্য সরবরাহকারী বলেন, এত লাখ টাকার একটি গাড়ি নিয়ে আসি, রাস্তায় কেউ আগুন দিয়ে দিলে তো সব শেষ। তাই ভাড়া একটু বেশি নিই। আরেক সরবরাহকারী বলেন, রাস্তায় কেউ ঢিল মারে, কেউবা ইট ছুড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাল সরবরাহ করি। এই আতঙ্কে আবার একদিন, দু’দিন বসে থাকতে হয়। ফলে ভাড়া বেশি নিই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *