চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ১১নং ওয়ার্ডে ময়লা বাণিজ্য

চট্টগ্রাম শহরতলী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে নগরীর দালানকোটা, মানুষ, চাহিদা। সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে আবর্জনাও। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানায় চলছে রমরমা ময়লা বাণিজ্য। সিটি এলাকায় প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বসবাস। জনবহুল শহরটিতে এখনও গড়ে ওঠেনি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।

ময়লা নিয়েও জমজমাট বাণিজ্য চলছে চট্টগ্রামে। মাসিক চাঁদার বিনিময়ে বাসাবাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয় বর্জ্য। ১১নং ওয়াডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করছেন ব্যক্তিগতভাবে তৈরী ময়লার গাড়ী। এতটুকু কাজের জন্য প্রতি ফ্ল্যাট থেকে ১০০ টাকা এবং সেমিপাকা ঘর থেকে ৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। যারা টাকা দেবে না তারা ময়লা ফেলতে পারবে না। যদিও ফেলে তবে বাসায় ফেরত নিয়ে যেতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যক্তিগতভাবে ময়লার গাড়ীর মালিক ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইলের ঘনিষ্ঠজন।

যদিও সিটি করপোরেশনের মূল তিন কাজের একটি এই বর্জ্য অপসারণ, এ জন্য ৪ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্সও দেন বাড়ি মালিকরা।

১১ নং ওয়ার্ডের ময়লার ভ্যানচালক রহমান স্থানীয় একজন গৃহিণীকে বলেন, আফনি আমারে ময়লার টাহা দেন না। হেরলাইগ্গা আফনে ময়লা ফেরত লইয়া যান।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমার বা কাউন্সিলরের সাথে তো লোকজন থাকবেই। কিন্তু কেউ যদি ব্যবসা করতে চায়, তাহলে সমস্যা কোথায়?

চট্টগ্রামে ৪১টি ওয়ার্ডে হোল্ডিং রয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ১৪০টি। প্রতি হোল্ডিংয়ের বিপরীতে ছয় থেকে ১২টি করে ফ্ল্যাট ধরলে বর্জ্য সংগ্রহ বাবদ সম্ভাব্য বাণিজ্য মাসে ১২ কোটি এবং বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। ঘরে ঘরে গিয়ে (ডোর-টু-ডোর) সরাসরি বর্জ্য সংগ্রহের নামে একসঙ্গে লোক নিয়োগ দেওয়া হয় দুই হাজার। এখন সেই বর্জ্য সংগ্রহের কাজ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিচ্ছে সিটি করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানগুলো বর্জ্য সংগ্রহের নামে লোকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। এভাবে সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে নিজেদের কাজ মধ্যস্বত্বভোগীর হাতে তুলে দিচ্ছে প্রতি বছর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *