চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম ওয়াসা ৩,৮০৮ কোটি টাকার পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প

প্রথমবারের মত মানবসৃষ্ট বর্জ্যের দূষণ রোধে পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। আর পুরো নগরীকে পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের আওতায় আনতে অপেক্ষা করতে হবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত।চলমান প্রকল্পের প্রথম ক্যাচম্যান বা শোধনাগারের কাজ শুরু হয়েছে নগরীর হালিশহরে থেকে। ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পে হালিশহরের সঙ্গে আওতায় আসবে শহরের পতেঙ্গা এলাকার মানুষও।

চট্টগ্রাম ওয়াসার এক জরিপ অনুযায়ী, নগরীতে বর্তমানে মানববর্জ্যের পরিমাণ প্রতিদিন অন্তত ৮০০ টন। ২০৭০ সালে গিয়ে যার পরিমাণ দাঁড়াবে ৩০০ মিলিয়ন লিটারে। সেই লক্ষ্যমাত্রা ধরে পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়নে নগরীকে ছয়টি জোনে ভাগ করেছে ওয়াসা।

হালিশহর জোনে কাজও শুরু হয়েছে। চৌচালা এলাকায় চলছে ক্যাচম্যান বা পয়োশোধনাগার নির্মাণের কাজ। মানুষের বাসাবাড়ি থেকে পয়োবর্জ্য শোধানাগারে আনতে নগরীর দুইশত কিলোমিটার জুড়ে সড়কের নিচ দিয়ে চলছে পয়োপাইপলাইন স্থাপন। ২০২৬ সালে কাজ শেষ হলে প্রতিদিন ১০০ মিলিয়ন লিটার পয়োবর্জ্য নিষ্কাশন করা যাবে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন ব্যস্ততম সড়কে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট করে সড়ক কেটে পাইপগুলো বসাতে হচ্ছে। আশা করছি, এই কাজটুকু আমরা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ শেষ করতে পারব।’ প্রকল্প শতভাগ বাস্তবায়ন করা গেলে ২০৩২ সালের মধ্যে পুরো নগরীকে পয়োনিষ্কাশনের আওতায় আনা যাবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘বাকি তিনটাও আমাদের ফাইন্যান্স লাইনআপ হয়েছে। দুটি করবে জাইকা এবং আরেকটি করবে দক্ষিণ কোরিয়া। এতে ২০৩২ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরে যদি অন্য কোনো সমস্যা না দেখা দেয়, তাহলে সম্পূর্ণ শহর স্যুয়ারেজের আওতায় চলে আসবে।’ পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়ে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে।

হালিশহর ছাড়াও কালুরঘাট, ফতেয়াবাদ, বাকলিয়া, কাট্টলী এবং পতেঙ্গা জোনের জন্য পাঁচটি ক্যাচম্যানের সম্ভাব্যতা যাচাইসহ বেশকিছু কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *