চট্টগ্রামপটিয়া

লুটেরা ব্যবসায়ীদের কারণে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ: কমরেড শাহ আলম

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শাহ আলম বলেছেন, লুটেরা ব্যবসায়ীরা বাধাহীনভাবে রাষ্ট্রের সহায়তায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে লুটপাট করছে। মানুষ যেন আইনের আশ্রয় নিতে ও প্রতিবাদ করতে না পারে সরকার ইডেমনেটি দিয়ে রেখেছে।

তিনি বলেন, তেল দিয়ে সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাচ্ছে। এর জন্য প্রতি ইউনিটে ১৭ টাকা খরচ পড়ে। আর গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ পড়ে ৪ টাকার কাছাকাছি, কয়লায় পড়ে ৬ টাকা, গ্যাসে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ব্যবহার করছে কম, বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চলছে অধিক মাত্রায় আর সরকারি কেন্দ্রগুলো বসে আছে। গ্যাসে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হয়না। বরং বর্তমান থেকে আরো কম দামে উৎপাদন ও মানুষের ব্যবহারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়। এখানেই রয়েছে শুভঙ্করের কারসাজি। যারা মানুষের ট্যাক্সের টাকা লোপাট করছে এই গণদুশমন ও দেশের সম্পদ লোপাটকারীদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন ও গণ সংগ্রামের কোন বিকল্প নেই। বার বার বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে সাধারন মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এটিই বর্তমান সরকার বছরের পর বছর করছে।

শুক্রবার সকালে পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) পটিয়া উপজেলা কমিটির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কমরেড শাহ আলম আরো বলেন, এরশাদ স্বৈরাচারের পতনের পর বিগত ৩৩ বছর আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে মানুষ ক্ষমতায় আসতে এবং যেতে দেখেছে। কিন্তু দেশে গণতন্ত্র আসেনি। মানুষের ভোটাধিকারও নির্বাসনে চলে গেছে। এদের ক্ষমতার রাজনীতি দেশ ও জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। এদের অপরাজনীতির হাত থেকে জনগণ ও দেশকে উদ্ধার করতে হলে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষ ও পেশাজীবী মধ্যবিত্তদের বিকল্প শক্তি সমাবেশ ও বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লাকী আকতার বলেন, শাসক গোষ্ঠী মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শাসক গোষ্ঠী এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে, এ সরকারসহ কোন দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করার পরিস্থিতি নেই।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) দক্ষিণ জেলার সভাপতি অধ্যাপক কানাই লাল দাশ জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে ব্যবস্থা পাল্টাতে হবে এবং আওয়ামী লীগ-বিএনপির মেরুকরণের বাহিরে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি গড়ে তুলতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থার আমুল সংস্কার করতে হবে। দুর্নীতি-লুটপাট, দলীয়করণ বন্ধ করাসহ বিদেশে পাচারকৃত টাকা উদ্ধার, ঋণখেলাপী- ব্যাংক লোপাটকারীদের টাকা আদায় করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *