চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে মৈত্রী দিবসের আলোচনা সভা

ভারত সভ্যতা আদিকাল থেকে উপমহাদেশীয় অঞ্চলে অনুপ্রেরণাময় হয়ে আছে। বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালে ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ভারত সরকার ও জনগণের কাছে বাঙালি জাতি চিরঋণী হয়ে আছে। তারা শুধু স্বীকৃতিই দেয়নি মহান মুক্তিযুদ্ধে সামরিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সহযোগিতাসহ প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী আশ্রয় দিয়েছিলেন।

এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনকল্পে পুরো পৃথিবীর রাষ্ট্রনায়কদের একই মঞ্চে দাঁড় করিয়ে বাংলাদেশকে লাল সবুজের পতাকা অর্জনে আপ্রাণ সহযোগিতা করে গেছেন। সেই থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অর্থনৈতিক, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

গত ৬ ডিসেম্বর বেলা ৪টায় চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ–ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে ‘মৈত্রী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন এ কথা বলেন।

সংগঠনের বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্বে করেন বিভাগীয় সভাপতি তারিকুল ইসলাম জুয়েল। মূল নিবন্ধ পাঠ করেন চেম্বার সভাপতির পক্ষে বিসিই’র সিইও ওয়াসফি তামিম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাপস হোড়। আলোচনা করেন স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার চিফ এঙিকিউটিভ ভিকাশ কুমার, চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ্‌, চবি অধ্যাপক বসুমিত্র চাকমা, অধ্যক্ষ রীতা দত্ত। মো. সাজেদুল হাসানের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ–ভারতের জাতীয় সঙ্গীতসহ পাহাড়ি নৃত্য সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাজীব বসাকের পরিবেশনায় ‘যাদু’ পরিবেশিত হয়।

বক্তারা বলেন, কিছু নেতিবাচক মানুষ ভারতের সহযোগিতাকে অকৃতজ্ঞতায় অস্বীকার করে চলেছে। তাই তাদেরকে চিহ্নিত ও উপেক্ষা করে ভারতের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থেকে দু’দেশের বন্ধুত্বের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *