চট্টগ্রামরাজনীতি

চট্টগ্রাম শহরে আচরণবিধি ভেঙে স্বতন্ত্র প্রার্থীর শোভাযাত্রা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণার প্রথম দিনেই চট্টগ্রাম নগরে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে। নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় শোভাযাত্রা করেছেন চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা, ইপিজেড) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক। শোভাযাত্রার কারণে ওই এলাকায় সড়কে গাড়ি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালার ৬ এর ১ (ঘ) ধারা অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা তাঁর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে কেউ জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো সড়কে জনসভা কিংবা পথ সভা করতে পারবেন না।

এই বিধি আমলে নিতে দেখা যায়নি স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দুই বারের কাউন্সিলর জিয়াউল হককে। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর পরই তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে আগ্রাবাদে সরকারি কমার্স কলেজের সামনে আসেন। সেখান থেকে তাঁর নির্বাচনী প্রতীক ‘কেটলি’ নিয়ে বিজয় শোভাযাত্রা বের করেন। তাঁর অনুসারীরা জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে এই শোভাযাত্রা বের করা হয়।

জিয়াউল হকের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজয় শোভাযাত্রায় হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি আগ্রাবাদের সরকারি কমার্স কলেজ থেকে শুরু হয়ে আগ্রাবাদের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে এক্সেস রোডের আব্দুল্লাহ কনভেনশন হলে গিয়ে শেষ হয়। পরে ওই কনভেশন হলে অনুষ্ঠিত হয় মতবিনিময় সভা।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন প্রার্থী জিয়াউল হক। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের স্বতস্ফুর্ত উপস্থিতিতে আমি বেশ আনন্দিত। কেটলি প্রতীকে ভোট দিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হয়ে আমি জনগণের সেবায় নিজেকে সবসময়ের মত নিয়োজিত রাখতে চাই।’

ব্যস্ত সড়কে নির্বাচনী প্রচারণা বিধিমালা ভঙ্গ করে শোভাযাত্রা করার বিষয়ে জানতে চাইলে জিয়াউল হকের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি সংযোগ কেটে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *