চট্টগ্রাম-১৬: মুজিবকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন এমরান
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে চট্টগ্রাম-১৬ আসন (বাঁশখালী) থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন দুই প্রাথী। এরা হলেন— জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী শিল্পপতি কামাল মোস্তফা চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ এমরানুল হক (এমরান)।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠি জমা দিয়েছেন তারা।
এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ এমরানুল হক (এমরান) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিল্পপতি মুজিবুর রহমান সিআইপিকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন। এমরানুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন এমরানুল হক। তবে জয়ী হলেও নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে তিনি চেয়ারে বসতে পারেননি।
অপরদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা আরেক প্রার্থী হলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী কামাল মোস্তফা চৌধুরী। তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ায় করা অবস্থায় আমদানি-রফতানি এবং শিপিং ব্যবসায় কর্মজীবন শুরু করা এই ব্যাংকার তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কারণ উল্লেখ করেননি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এমরানুল হক তার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আবেদনে উল্লেখ করেছেন, আমি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে এবং কারও প্ররোচনা ছাড়াই মুজিবুর রহমান সিআইপিকে সমর্থনপূর্বক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। তবে প্রত্যাহারের কোনো কারণ উল্লেখ করেননি।
বাঁশখালী থেকে মোট ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় এদের মধ্যে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে দুইজন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফেরত পান। তারা হলেন, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী শফকত হোসাইন চাটগামী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির আশীষ কুমার শীল। তবে ঋণখেলাপী হওয়ায় নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।
বাঁশখালীতে বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে আবারও দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলেও নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান সিআইপি ও আবদুল্লাহ কবির লিটনের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নেতাকর্মীরা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে একাট্টা হচ্ছেন। দিন যতই যাচ্ছে মূলত নৌকা থেকে বিয়োগ হচ্ছে নেতাকর্মীরা। অপরদিকে নতুন নতুন নেতাকর্মীর ভীড়ে আবদুল্লাহ কবির লিটন ও মুজিবুর রহমান সিআইপির অবস্থান মজবুত হচ্ছে।