চট্টগ্রামরাজনীতি

চট্টগ্রাম-৫ঃ ব্যারিস্টার আনিসের নগদ টাকার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি স্ত্রীর

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে জাতীয় পার্টির হয়ে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবারের নির্বাচিত এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান। ছিলেন একাধিকবার মন্ত্রী। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও লড়ছেন।

এবারের নির্বাচনী হলফনামায় দেখা গেছে, বর্তমান সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নিজের নামে রয়েছে আড়াই কোটি টাকার গাড়ি। গত ৫ বছরে তাঁর ২৮ কোটি টাকার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি টাকায়। বেড়েছে তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকাও। তবে, তাঁর চেয়ে সাড়ে ৫ গুন নগদ টাকা বেশি রয়েছে তাঁর স্ত্রীর। তবে দুজনেই ঋণ দিয়েছেন ৬ কোটিরও বেশি।

২০২৩ সালের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, আনিসুল ইসলামের শেয়ার, সঞ্চয়পত্র এবং ব্যাংক আমানত আছে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। বিপরীতে এই খাতে তাঁর স্ত্রীর রয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। আর হাতে বর্তমানে নগদ টাকা রয়েছে ৪৮ লাখ ৫২ হাজার ১০২ টাকা। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর নগদ টাকা আছে। সাড়ে ৫ গুনেরও বেশি। এর পরিমাণ ২ কোটি ৬৮ লাখ ৬১ হাজার ৪৪১ টাকা।

হলফনামার তথ্য বলছে, আনিসুল ইসলামের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর এই খাতে জমা রয়েছে ৮ কোটি ২ লাখ ১৯ হাজার টাকা। এছাড়া এই সংসদ সদস্যের নিজের স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে ২০ হাজার টাকার। বিপরীতে তাঁর স্ত্রীর ২ লাখ ২০ হাজার টাকার স্বর্ণ।

হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের অংশে ঋণ প্রদান বাবদ আনিসুল ইসলামের আছে ৫ কোটি ৯৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। অপরদিকে, তাঁর স্ত্রীর এই খাতে আছে ২০ লাখ ৭০ হাজার। অর্থাৎ দুজন মিলে মোট ঋণ প্রদান করেছেন ৬ কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। তবে এই সংসদ সদস্যের ক্রেডিট কার্ড বাবদ দেনা আছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬৭ টাকা।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে তাঁর কৃষি জমির পরিমাণ ৩২ লাখ ৬৩ হাজার ৪শ টাকা, অকৃষি জমি ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯৪ টাকা এবং বাড়ি/এপার্টমেন্ট ১ কোটি ৮৭ লাখ ৯১ হাজার ১৩৮ টাকার সম্পদসহ মোট সম্পদ ছিল ২৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকার।

তবে ২০২৩ সালে পাঁচ বছরের ব্যবধানে তার এই সম্পদ প্রায় ৭ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি ৪১ লাখ টাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *