চট্টগ্রামচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চবিতে ৯০ শতাংশ শিক্ষক ক্লাস নেননি, দাবি শিক্ষক সমিতির

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে শিক্ষক সমিতি। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন এই কর্মবিরতি চলবে।

শিক্ষক সমিতির দাবি, তাদের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করে ৯০ শতাংশ শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেননি। যদিও এ বিষয়ে প্রশাসনের কারও সুস্পষ্ঠ বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষকগণ থেকে প্রাপ্ত তথ‍্য অনুযায়ী সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিক্ষক সমিতি ঘোষিত কর্মবিরতি কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষক কোনো ক্লাস নেননি। তবে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত এবং প্রশাসন থেকে নানান ধরনের সুবিধাভোগী ১০ শতাংশের মতো শিক্ষক কর্মসূচি চলাকালে ক্লাস নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি প্রশাসনপন্থী শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি।

আইন ও বাংলা বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবি নিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির নেতারা উপাচার্যের কাছে গেলে একপর্যায়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে নির্বাচন বোর্ড বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষক সমিতি। সেই কর্মসূচি পরে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবির আন্দোলনে পরিণত হয়। এরপর শীতকালীন ছুটি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষক সমিতি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর পুনরায় অবস্থান কর্মসূচি, সংবাদ প্রদর্শনীসহ লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছে সংগঠনটি। সর্বশেষ একই দাবিতে গত রোববার চারদিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করে শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংগঠনটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *